আরতি করলেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।
দু’দিন আগে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল কলকাতার দুর্গাপুজোর কথা। মহাষ্টমীর রাতে সরাসরি হাজিরই হয়ে গেলেন দুর্গাপুজোর মণ্ডপে। তবে কলকাতায় নয়, দিল্লিতে। নয়াদিল্লির প্রখ্যাত বাঙালি মহল্লা চিত্তরঞ্জন পার্কের মণ্ডপে গিয়ে মঙ্গলবার পূজাপাঠ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। করলেন আরতিও। গেলেন চিত্তরঞ্জন পার্ক কালীবাড়িতেও। মাসছয়েক পরেই বিধানসভা নির্বাচনের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলা। তার আগে দিল্লির বাঙালি মহল্লার দুর্গোৎসবে যোগদানের ছবি ও ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমেও ভাগ করে নিলেন মোদী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চিত্তরঞ্জন পার্কের মণ্ডপে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তও। প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ পূজাপাঠ তথা প্রার্থনার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। হাতে পদ্মফুল নিয়ে করজোড়ে পুরোহিতের সঙ্গে মন্ত্রোচ্চারণ করতে দেখা যায় মোদীকে। তার পরে আরতিও করেন তিনি। শুধু দুর্গামণ্ডপে অবশ্য নয়, লাগোয়া কালীবাড়িতেও আরতি করেন মোদী। আগে কখনও মহাষ্টমীর রাতে চিত্তরঞ্জন পার্ক কালীবাড়িতে তথা দুর্গামণ্ডপে গিয়ে পূজাপাঠে অংশ নিতে দেখা যায়নি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে।
দুর্গামণ্ডপ এবং কালীবাড়িতে নিজের উপস্থিতির ছবি এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করেন মোদী। ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নেন তার ভিডিয়ো। সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বাংলায়ও পোস্ট করেন। লেখেন, ‘‘আজ মহাষ্টমীর পুণ্যদিনে আমি দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের দুর্গাপুজোয় অংশ নিতে গিয়েছিলাম। চিত্তরঞ্জন পার্ক, বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। আমাদের সমাজের ঐক্য ও সাংস্কৃতিক প্রাণময়তার প্রকৃত রূপ ফুটে ওঠে এই অনুষ্ঠানগুলিতে। সকলের সুখ ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করেছি আমি।’’
পাঁচ বছর আগেও দুর্গোৎসবে শামিল হয়েছিলেন মোদী। তবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। বিধানসভা নির্বাচনের আগের বছরে অর্থাৎ ২০২০ সালে বিধাননগরের ইজ়েডসিসি চত্বরে পুজো শুরু করেছিল বঙ্গ বিজেপি। ভার্চুয়াল মাধ্যমে মোদীই তার উদ্বোধন করেছিলেন। এ বছর ইজ়েডসিসির সেই পুজোর উদ্বোধন হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে। তবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে নয়, কলকাতায় এসেই তিনি পুজোটির উদ্বোধন করে গিয়েছেন। সঙ্গে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে গিয়েছেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের পুজোরও। মোদী সশরীরে বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে কলকাতার পুজোয় এ বার অংশ নিতে না পারলেও দুর্গোৎসব থেকে পুরোপুরি দূরে থাকলেন না। বাঙালি মহল্লায় হাজির হওয়ার অবকাশ খুঁজে নিলেন। চিত্তরঞ্জন পার্কের মতো বাঙালি প্রধান এলাকার পুজো মণ্ডপে হাজির হয়ে শুধু দিল্লির বাঙালিদের মন নয়, বরং পশ্চিমবঙ্গের মনই তিনি বেশি করে ছোঁয়ার চেষ্টা করলেন বলে অনেকের মত।