কাশ্মীরে হবে যৌথ কমান্ডো অভিযান

সম্প্রতি কমান্ডো বাহিনীর জন্য ‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল অপারেশনস ডিভিশন’ গঠন করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তার দায়িত্বে রয়েছেন সেনার মেজর জেনারেল অশোক ধিংড়া।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা 

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৪১
Share:

ছবি পিটিআই।

সশস্ত্র বাহিনীর নবগঠিত বিভাগের অধীনে কাশ্মীরে সন্ত্রাস-দমন অভিযানে সেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনার কমান্ডো বাহিনী অংশগ্রহণ করবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর। প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, এর আগেও যৌথ কমান্ডের অধীনে উপত্যকায় জঙ্গি দমন অভিযানে সামিল হয়েছেন নৌসেনা ও বায়ুসেনার কমান্ডোরা। তবে নতুন বিভাগের অধীনে এই প্রথম তিন বাহিনী একসঙ্গে কাজ করবে।

Advertisement

সম্প্রতি কমান্ডো বাহিনীর জন্য ‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল অপারেশনস ডিভিশন’ গঠন করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তার দায়িত্বে রয়েছেন সেনার মেজর জেনারেল অশোক ধিংড়া। একই ভাবে সাইবার সুরক্ষায় তিন বাহিনীর সমন্বয়ের জন্য তৈরি নতুন বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন নৌসেনার অফিসার।

সেনা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই শ্রীনগরের কাছে জঙ্গি উপদ্রুত একটি এলাকায় সেনার প্যারা কমান্ডোদের মোতায়েন করা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই নৌসেনার মার্কোস ও বায়ুসেনার গরুড় কমান্ডোরাও জঙ্গি দমন অভিযানে সামিল হবেন।

Advertisement

বেশ কয়েক বছর ধরেই উপত্যকায় মোতায়েন রয়েছেন নৌসেনা ও বায়ুসেনার কমান্ডোরা। উলার হ্রদের কাছে নৌসেনার কমান্ডোদের শিবির রয়েছে। লোলাব ও হাজিন এলাকায় কাজ করছেন বায়ুসেনার কমান্ডোরা। হাজিন এলাকায় একটি সন্ত্রাস দমন অভিযানে বায়ুসেনার বাহিনীর সঙ্গেই সংঘর্ষে নিহত হয় ছ’জন জঙ্গি। এই অভিযানের জন্যই গরুড় বাহিনীর কর্পোরাল জে পি নিরালাকে মরণোত্তর অশোক চক্র দেওয়া হয়।

প্রতিরক্ষা সূত্রের মতে, যৌথ ভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাহিনীর কর্তাদের মতে, কাশ্মীরে যৌথ ভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা অন্য ক্ষেত্রেও কাজে লাগানো যেতে পারে। ইতিমধ্যেই কচ্ছ ও আন্দামান নিকোবরে যৌথ অভিযানের মহড়া দিয়েছে তিন কমান্ডো বাহিনী।

অন্য দিকে উপত্যকার পরিস্থিতি আদৌ স্বাভাবিক নয় বলে এ দিন মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিন্‌হা। নাগরিক সমাজের এক পাঁচ সদস্যের দলের নেতা হিসেবে উপত্যকায় এসেছেন তিনি। তবে ওই প্রতিনিধি দলকে শ্রীনগরের বাইরে যেতে দেয়নি প্রশাসন। আজ সফর শেষে যশবন্ত বলেন, ‘‘উপত্যকার পরিস্থিতি আদৌ স্বাভাবিক নয়। বাসিন্দারা সন্ত্রস্ত। প্রকৃত অবস্থা গোপন করার জন্যই আমাদের অনেক জায়গায় যেতে দেওয়া হয়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement