খুনের অভিযোগ, ধৃত বিমানসেবিকার স্বামী

দু’বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ময়ঙ্ক ও অ্যানিসিয়ার। টাকার জন্য ময়ঙ্ক শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার করতেন অ্যানিসিয়াকে। গত মাসে থানায় অভিযোগও করেছিল তাঁর পরিবার। ময়ঙ্ক পুলিশকে জানায়, শনিবার বিকেলে অ্যানিসিয়া তাঁকে মেসেজ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৮ ০৩:১৪
Share:

স্বামী ময়ঙ্ক সিঙ্ঘবির সঙ্গে অ্যানিসিয়া বাত্রা।

বিমানসেবিকা অ্যানিসিয়া বাত্রাকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছে তাঁর পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে দিল্লির হজ খাস এলাকায় বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন ৩২ বছরের ওই তরুণী। যদিও পরিবারের দাবি, অ্যানিসিয়াকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছেন তাঁর স্বামী ময়ঙ্ক সিঙ্ঘবি। ময়ঙ্ককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

দু’বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ময়ঙ্ক ও অ্যানিসিয়ার। টাকার জন্য ময়ঙ্ক শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার করতেন অ্যানিসিয়াকে। গত মাসে থানায় অভিযোগও করেছিল তাঁর পরিবার। ময়ঙ্ক পুলিশকে জানায়, শনিবার বিকেলে অ্যানিসিয়া তাঁকে মেসেজ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানান। আর তার পরেই ঝাঁপ দেন। ছুটে ছাদে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাঁচাতে পারেননি স্ত্রীকে।

ওই তরুণীর ভাই করণ বাত্রা জানিয়েছেন, অ্যানিসিয়া মারা যাওয়ার আগে তাঁকে মেসেজ করে বলেছিলেন, ‘‘ওদের ছেড়ো না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বোন মেসেজ করে পুলিশকে সব জানাতে বলেছিল। ময়ঙ্ক ওকে একটা ঘরে আটকে রেখেছিল। আমরা জানি না ওকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে, না ও ঝাঁপ মেরেছিল।’’ তিনি আরও জানান, ময়ঙ্কের পরিবারের কেউ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। রবিবার ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফ হওয়ার কথা ছিল। পুলিশ সে রকমই আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সেই রকম কিছু হয়নি।

Advertisement

গত জুনে অ্যানিসিয়ার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর বাবা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল। করণ বলেন, ‘‘ময়ঙ্কের সঙ্গে কথা বলতে গত মাসে আমার বাবা-মা চণ্ডীগড় থেকে এসেছিলেন। ময়ঙ্ক আমার মায়ের গায়েও হাত তোলে। মায়ের শারীরিক অবস্থার জন্য ফিরে যেতে হয় তাঁদের।’’ তাঁর দাবি, পুলিশ বাড়িটা তালা বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু ময়ঙ্কের কাছে অতিরিক্ত চাবি রয়েছে। তা দিয়ে তালা খুলে শনিবার রাতে ঘরে ঢুকে সব প্রমাণ লোপাট করে দেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন