এয়ার ইন্ডিয়ার আমেরিকাগামী উড়ান প্রায় এক ঘণ্টা দেরি করানোর অভিযোগ উঠল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের বিরুদ্ধে। তাঁর সফরসঙ্গী এক অফিসারের পাসপোর্ট-বিভ্রাটের ফলেই গতকাল নেওয়ার্কগামী ওই উড়ান ছাড়তে দেরি হয় বলে সরকারি সূত্রে খবর। গতকাল আমেরিকা সফরে যাওয়ার জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার নেওয়ার্কগামী উড়ান ধরতে যান ফডণবীস। তাঁর সঙ্গী প্রতিনিধি দলে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সচিব প্রবীণ পরদেশি। সরকারি সূত্রে খবর, পরদেশির পাসপোর্টে বৈধ মার্কিন ভিসা না দেখতে পেয়ে তাঁকে আটকান অভিবাসন দফতরের কর্মীরা। পরে জানা যায়, পরদেশির পুরনো পাসপোর্টে ওই ভিসা রয়েছে। তিনি নিয়ে এসেছেন নয়া পাসপোর্ট। ওই আমলার পুরনো পাসপোর্টটি নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়। তার পরে উড়ান ছাড়ে। কিন্তু এতেই প্রায় এক ঘণ্টা দেরি হয়ে যায়।
বিতর্ক শুরু হওয়ার পরে অবশ্য ফডণবীস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি মোটেই প্রভাব খাটিয়ে উড়ান আটকে রাখেননি। এয়ার ইন্ডিয়াও জানিয়েছে, কিছু যান্ত্রিক কারণে ওই বিমান ছাড়তে দেরি হয়েছে। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলও এর জন্য কিছুটা দায়ী। কিন্তু এতে বিরোধীদের মুখ বন্ধ হচ্ছে না। ফডণবীসের পাশাপাশি তাঁদের নিশানায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা পৃথ্বীরাজ চহ্বাণের দাবি, ‘‘এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা চাপের মুখে নিয়ম ভেঙেছেন। প্রধানমন্ত্রীর উচিত এ নিয়ে তদন্ত করা। তবে ফডণবীসকে তিনি কিছু বলবেন কিনা জানি না।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অশোক চহ্বাণের কথায়, ‘‘অভিযোগটি খুবই গুরুতর। এক অফিসার তাঁর পাসপোর্ট ভুলে ফেলে এসেছিলেন বলে এত দেরি হয়েছে। বিষয়টি তলিয়ে দেখা উচিত।’