Narendra Modi

Narendra Modi: মোদীর কৃষক ‘প্রেমে’ কটাক্ষ অকালির

দেশে ওই উদ্যোগের সুফল পাবেন প্রায় ৯.৭৫কোটি কৃষক পরিবার। এতে কেন্দ্রের খরচ হবে প্রায় ১৯,৫০০ কোটি টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২১ ০৮:০২
Share:

ফাইল চিত্র।

কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির সীমানায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন ক্ষুব্ধ কৃষকেরা। দীর্ঘ ন’মাসে তাঁদের সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ দাবি করলেন, ২০৪৭ সালে, স্বাধীনতার ১০০ বছরে দেশের পরিস্থিতি কেমন হবে, তা নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে কৃষিক্ষেত্র, গ্রাম ও কৃষক সমাজ। প্রধানমন্ত্রী কিসান নিধি সম্মান প্রকল্পে নবম কিস্তির টাকা প্রদানের কথা ঘোষণা করে মোদী আজ দাবি করেন, কৃষি নীতিতে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ছোট চাষিদের।

Advertisement

আজ ভিডিয়ো কনফারেন্সের এ বছরের অগস্ট মাসের কিস্তির টাকা প্রদানের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে ওই উদ্যোগের সুফল পাবেন প্রায় ৯.৭৫কোটি কৃষক পরিবার। এতে কেন্দ্রের খরচ হবে প্রায় ১৯,৫০০ কোটি টাকা। বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন। তাই আজকের অনুষ্ঠানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বড় সংখ্যক কৃষক কৃষি আইনের বাতিলের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। এর জেরে দলের ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব তাই যেন তেন কৃষি আন্দোলন শেষ করার পক্ষপাতী।

এই আবহে উত্তরপ্রদেশের কৃষকদের বার্তা দিতে আজ উদ্যোগী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। একাধিকবার উত্তরপ্রদেশের উদাহরণ তুলে ধরে মোদী বলেন, ‘‘এ পর্বে শুধু উত্তরপ্রদেশের ২.২৫ কোটি কৃষকের জন্যই ৪,৭২০ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। প্রতি চার মাস অন্তর কৃষকেরা যে দু’হাজার টাকা করে পাচ্ছেন, তা দিয়ে তাঁরা বীজ, সার কিনতে পারছেন, রক্ষা পাচ্ছেন সুদখোর মহাজনদের হাত থেকে।’’ মোদী প্রথম বার ক্ষমতায় এসে ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে বলে দাবি করেছিলেন। আজ অবশ্য সে সবের কোনও উল্লেখ করেননি তিনি।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে আজ আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন শরিক, শিরোমণি অকালি দলের সাংসদ হরসিমরত কউর। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী কৃষক প্রেম দেখাচ্ছেন অথচ, গত নয় মাস ধরে দিল্লির দোরগোড়ায় বসে থাকা কৃষকদের সমস্যা সমাধানে তিনি তো যাননি, এমনকি কোনও মন্ত্রীকেও সেখানে পাঠাননি। সংসদে এ নিয়ে আলোচনা পর্যন্ত করতে রাজি নয় সরকার। মোদী দাবি করেছিলেন, ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করে দেবেন, অথচ তিনি কৃষি আইন এনে কৃষকদের পেটে এমন লাঠি মেরেছেন যে তাঁরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন। ২০২২ সালের জায়গায় এখন ২০৪৭ সালের স্বপ্ন দেখাচ্ছে সরকার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন