মায়াকে বার্তা দিতে গরহাজির অখিলেশ

যদিও রাহুল গাঁধীকে নিরুদ্বেগই দেখিয়েছে এ দিন। সূত্রের খবর, নেপথ্যের কাহিনিটি জানেন বলেই রাহুল এ নিয়ে চিন্তান্বিত নন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:১৫
Share:

অখিলেশ ও মায়াবতী।—ফাইল চিত্র।

আজ ২১টি বিরোধী দল একত্রিত হলেও অনুপস্থিত এসপি এবং বিএসপি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন রাজনৈতিক শিবিরে। যদিও রাহুল গাঁধীকে নিরুদ্বেগই দেখিয়েছে এ দিন। সূত্রের খবর, নেপথ্যের কাহিনিটি জানেন বলেই রাহুল এ নিয়ে চিন্তান্বিত নন।

Advertisement

কেন আসেননি অখিলেশ আর মায়া? রাজনৈতিক সূত্রের খবর, মায়াবতীর না আসাটা অপ্রত্যাশিত নয়। তিনি কোন দিকে ঝুঁকবেন, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেননি। এক বিরোধী নেতার কথায়, কিছু দিন আগে মায়া এ-ও বলেছেন, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি-বিরোধী জোট করতে হলে তাঁর সিংহভাগ আসন চাই। কোনও ভাবেই তিনি ওই রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সমঝোতায় যাবেন না। এই অবস্থায় অখিলেশ চাইছেন, মায়াকে যে ভাবে হোক উত্তরপ্রদেশে বিজেপির অদৃশ্য বলয় থেকে বের করে আনতে। এসপি সূত্র বলছে, মায়াবতীকে বার্তা দিতেই তাই আজ বিরোধী সম্মেলনে হাজির থাকেননি অখিলেশ। তিনি রাহুলকে জানিয়েই বৃহত্তর রাজনৈতিক লক্ষ্যের কথা মাথায় রেখে এই পদক্ষেপ করেছেন। কংগ্রেস এবং এসপি, উভয় নেতৃত্বই আশা করছেন, আগামীকাল পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলাফল যদি কংগ্রেসের অনুকূলে যায়, তা হলে অদূর ভবিষ্যতে মায়াবতীও জোটের প্রশ্নে নরম হবেন।

আজ রাহুলকে এসপি-বিএসপি-র অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এটা একটা প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া সকলের জন্য খোলা, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সম্মানজনক। আজ বৈঠকের ভিতরে যে স্বরটি উঠে এসেছে সেটি বিরোধীদের স্বর। আমরা সকলকেই সম্মান করি।’’

Advertisement

কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, বিজেপি উত্তরপ্রদেশে পারিতোষিক এবং ভয় দেখানো— এই দুমুখো রাজনীতি করছে। এক দিকে মুখ্যমন্ত্রিত্বের টোপ দেওয়া হচ্ছে, অন্য দিকে সিবিআই-এর জুজু দেখানো হচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেস আশাবাদী যে, বিজেপি-বিরোধী হাওয়া জোরদার হলে সকলেই এক মঞ্চে আসবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন