Al-Qaeda

আল কায়েদার নিশানায় এ বার ভারতীয় সেনারা

সেনাবাহিনীর সব কর্মীই তাদের নিশানায়। তা তাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে থাকুন বা সেনা ছাউনিতে। যে সব সেনা জওয়ান ছুটিতে আছেন তাঁদেরকেও ছাড়া হবে না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৭ ১৭:৩১
Share:

ভারতীয় সেনাবাহিনী ও হিন্দু ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ সংগঠনগুলির ওপর হামলার ছক আল-কায়েদার।— প্রতীকী ছবি।

এ বার ভারতীয় সেনাবাহিনী ও হিন্দু ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ সংগঠনগুলির ওপর হামলা চালাবে আল-কায়েদা।

Advertisement

কী ভাবে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের উপর হামলা চালানো হবে সে বিষয়ে একটি নথিও প্রকাশ করেছে তারা। ‘কোড অফ কনডাক্ট ফর মুজাহিদিন ইন দ্য সাবকন্টিনেন্ট’ শীর্ষক ওই নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে উপমহাদেশীয় জঙ্গিদের টার্গেটগুলি কী, কী করতে হবে, কী করা চলবে না— সব কিছুই। আল-কায়েদার ওই নথিতে জানানো হয়েছে, ‘যাদের হাতে কাশ্মীরী ভাইদের রক্ত লেগে রয়েছে, তাদের কাউকেই ছাড়া হবে না।’

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, আল-কায়েদার ওই নথিতে জানানো হয়েছে, সেনাবাহিনীর সব কর্মীই তাদের নিশানায়। তা তাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে থাকুন বা সেনা ছাউনিতে। যে সব সেনা জওয়ান ছুটিতে আছেন তাঁদেরকেও ছাড়া হবে না। কারণ, তাঁরা শরিয়তি আইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন। সাধারণ সেনা জওয়ানদের থেকে অফিসারদেরই বেশি টার্গেট করেছে আল-কায়েদা। ‘হিটলিস্টে’ বেশি করে রয়েছে সেনা অফিসারদের নাম। সেনা অফিসারদের সিনিয়রিটি যাঁর যত বেশি, বেছে বেছে তাঁদেরকেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টার্গেট করা হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: মোদী-ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাতেই সন্ত্রাস নিয়ে ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা

এক গোয়েন্দা কর্তার কথায়, ‘‘আল-কায়েদার নথিতে জানানো হয়েছে, ভারতে সাধারণ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ নাগরিকদের ওপর কোনও হামলা চালানো হবে না। হামলা চালানো হবে না কোনও ধর্মস্থানেও। এখানেই অন্য সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসালামিক স্টেটের সঙ্গে ফারাক আল-কায়েদার। যারা বেছে বেছে মসজিদগুলিকেই টার্গেট করছে।’’

এই মুহূর্তে ‘আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট’ বা একিউআইএস ভারতের পক্ষে সবচেয়ে বড় বিপদ। উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের জনৈক মৌলানা আসিম উমরকে উপমহাদেশীয় আল-কায়েদার শাখার প্রধান হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে ওই নথিতে। ২০১৪-র সেপ্টেম্বরে আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি ও আসিম উমর এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠা করে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, আল-কায়েদার সঙ্গে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সরাসরি যোগসাজশের প্রমাণও রয়েছে। ২০১৫-র ডিসেম্বরে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি স্লিপার সেলের হদিশ পেয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন