প্রতীকী ছবি।
কাশ্মীরে জঙ্গি সন্ত্রাস তুঙ্গে। তার মধ্যেই জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা জানাল, ‘কাশ্মীরি ভাইদের’ রক্ত লেগে আছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে। তাই ভারতীয় সেনাই এখন তাদের অন্যতম লক্ষ্য। সেই সঙ্গে ভারতের হিন্দু সংগঠনগুলির নেতাদেরও নিশানা করা হবে বলে জানিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি।
বছর তিনেক আগে ভারতীয় উপমহাদেশে নিজেদের জাল ছড়াতে আলাদা শাখা (আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট) তৈরি করেছিলেন সংগঠনের প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি। আজ সেই সংগঠনের পক্ষেই এক বার্তায় জানানো হয়েছে, ‘কাশ্মীরি ভাই’দের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। তাই ওই সেনার অফিসার ও জওয়ানদের নিশানা করবে তারা। সেনারা ছুটিতে গেলে তাদের উপরে হামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংগঠনের সদস্যদের। লক্ষ্যবস্তু হিসেবে সেনা জওয়ানদের চেয়ে অফিসারদের বেশি গুরুত্ব দিয়েছে আল কায়দা।
সেই সঙ্গে হিন্দু ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ সংগঠনের নেতাদের উপরেও হামলা চালাতে জঙ্গিদের নির্দেশ দিয়েছেন আল কায়দার শীর্ষ নেতৃত্ব। ওই বার্তা অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের সম্ভল এলাকার বাসিন্দা মৌলানা আসিম উমর নামে এক ব্যক্তি এখন আল কায়দার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার প্রধান (আমির)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, আসিম উমরই উপমহাদেশে আল কায়দা শাখার সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এই সংগঠনটির পিছনে মদত আছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের।
ভারতের নানা প্রান্তে সংগঠনটির স্লিপার সেল রয়েছে বলেও মনে করছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের মতে, উপমহাদেশে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর বাড়বাড়ন্ত শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়ে আল কায়দা। ইসলামি মৌলবাদী জঙ্গি কার্যকলাপের ক্ষেত্রে জমি হারানোর ভয় জাগে কায়দা নেতৃত্বের। তার ফলেই আলাদা শাখা খোলা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা জানাচ্ছেন, আল কায়দা এই বার্তায় সাধারণ হিন্দু, মুসলিম বা বৌদ্ধদের উপরে হামলা চালাতে নিষেধ করেছে। ধর্মস্থানে হামলা চালানোও নিষিদ্ধ করেছেন আল কায়দা নেতৃত্ব। এই বিষয়ে আইএসের সঙ্গে বড় পার্থক্য রয়েছে তাদের।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের মতে, হিজবুল মুজাহিদিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া জঙ্গি কম্যান্ডার জাকির মুসা আল কায়দায় যোগ দিতে পারে। কাশ্মীরে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে মুসার সঙ্গে হুরিয়ত এবং হিজবুলের মতবিরোধ হয়েছিল। আল কায়দায় যোগ দিলে তার কাজে সুবিধে হতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।