Kumbh Mela Stampede

এখনও মেলেনি কুম্ভে পদপিষ্টের ক্ষতিপূরণ! উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ভর্ৎসনা ইলাহাবাদ হাই কোর্টের

মৃতের পরিবারকে চিহ্নিত করে দেহ ফিরিয়ে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। কিন্তু ওই পরিবারকে কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। তা নিয়ে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ল উত্তরপ্রদেশ সরকার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৫ ২১:৩৭
Share:

গত জানুয়ারিতে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের পরের পরিস্থিতি। —ফাইল চিত্র।

কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের ঘটনায় এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি এক স্বজনহারা পরিবারের। তা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ভর্ৎসনা করল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, মৃতের পরিবারকে চিহ্নিত করার পরেও ক্ষতিপূরণের জন্য সরকারের কাছে ভিক্ষা চাইতে বলা কোনও অজুহাত হতে পারে না। মৃতের দেহ কোনও সরকারি হাসপাতালে ময়নাতদন্ত না করিয়েই কেন পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন হাই কোর্টের।

Advertisement

প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় গত ২৯ জানুয়ারি পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছিল। ওই দুর্ঘটনায় স্ত্রীকে হারান উদয়প্রতাপ সিংহ। গত ৫ ফেব্রুয়ারি মহিলার দেহ তুলে দেওয়া হয় তাঁর সন্তানের হাতে। তার পর থেকে চার মাস কেটে গেলেও কোনও ক্ষতিপূরণ পাননি পরিবারের সদস্যেরা। তা নিয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন উদয়প্রতাপ। হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমিত্রদয়াল সিংহ এবং সন্দীপ জৈনের অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। স্বজনহারা পরিবারের ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে দেরি হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আদালত। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এক বার কোনও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হলে, তা সময়মতো পৌঁছে দেওয়া সরকারের দায়িত্ব।

মামলার শুনানিতে সরকার পক্ষের তরফে জানানো হয়, ওই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কোনও ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন জানাননি। তাই সেটি বিবেচনাও করা হয়নি। সরকার পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে সরকারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, উত্তরপ্রদেশ সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাই কোর্ট জানিয়েছে, সরকারের উচিত ছিল পূর্ণ মর্যাদার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া। এ ক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান আসলে নাগরিকদের দুর্দশার প্রতি ঔদাসীন্যের প্রকাশ বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করছে আদালত।

Advertisement

হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, “মৃতের পরিবারের পরিচয় সরকারের কাছে অজানা ছিল না। তার পরেও দূর-দূরান্ত থেকে আসা পরিবারকে ক্ষতিপূরণের জন্য সরকারের কাছে ভিক্ষা চাইতে বলা একটি অজুহাত মাত্র।” আদালত আরও জানিয়েছে, ওই দুর্ঘটনার জন্য মৃতের কোনও দোষ ছিল না। কুম্ভমেলার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব যে উত্তরপ্রদেশ সরকারের হাতেই ছিল, তা-ও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement