চিকিৎসকের গাফিলতিতে মহিলার মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হাইলাকান্দির লালায়।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আজ ‘ল্যাপরোস্কোপি’ অস্ত্রোপচার শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। ১০ জন মহিলা যান। এস কে রায় হাসপাতালের চিকিৎসক শিবিরের দায়িত্বে ছিলেন। বর্নারপুর চা বাগানের বাসিন্দা বেলাবতী রী-র অস্ত্রোপচার শুরু হয়। আশাকর্মী রত্না তিওয়ারিতাঁকে ওই শিবিরে নিয়ে গিয়েছিলেন। মহিলার পরিজনদের বক্তব্য, শ্রমজীবী পরিবারের বেলাবতীদেবী শুনেছিলেন, ওই অস্ত্রোপচার করলে ১ হাজার ৪০০ টাকা মেলে। অভাবের সংসারে তাতে কিছুটা সুবিধা হবে ভেবেই তিনি ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। দুই মেয়ে, এক ছেলে রয়েছে বেলাবতিদেবীর। রত্নাদেবী জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের আগে তিনি সুস্থ ছিলেন। কিন্তু অস্ত্রোপচার শুরু হওয়ার পরই বেলাবতীদেবীর মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁকে জানান চিকিৎসকরা। তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃতের আত্মীয় চিকিৎসকের গাফিলতির অভিযোগ তোলেন।
হাসপাতালে উত্তেজনা দেখে সিআরপি বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ডিএসপি ফয়েজ আহমেদ, জেলার যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক উমেশ ফাংচু সেখানে পৌঁছন। যান লালার সার্কেল অফিসার মধুমিতা নাথ। তিনি চিকিৎসকের কাছে জানতে চান, ওই মহিলার অস্ত্রোপচারের আগে প্রয়োজনীয় শারিরীক পরীক্ষা করা হয়েছিল কি না। লালার পুরসদস্য তপন নাথ অভিযোগ করেন, ওই হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। জেলার যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক উমেশ ফাংচু জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়না তদন্তের পর জানা যাবে। তাঁর বক্তব্য, এ ধরনের অস্ত্রোপচারের পরিকাঠামো ওই হাসপাতালে রয়েছে।
অন্য দিকে, পুলিশের গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল তিন যুবক। গুলি চালান নিরাপত্তাকর্মীরা। রেসুবেলপাড়ার কালডাং এলাকার ঘটনা। গুলিতে গাড়ির তিন আরোহী জখম হন। তাঁদের গুয়াহাটির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত রাতে ওই ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা থানায় হামলা চালায়।