বিয়ের কয়েক দিন পরেই স্বামীকে খুন করলেন তরুণী। —প্রতীকী চিত্র।
পরিচয় ভাঁড়িয়ে বিয়ে এবং কয়েক দিন পরেই স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কুশীনগর এলাকায়। কুশীনগরে ২৮ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছে মৃত ইন্দ্রকুমার তিওয়ারির (৪৫) দেহ। তাঁর গলায় একটি ছুরি গেঁথে ছিল। ঘটনায় ইতিমধ্যে নিহতের স্ত্রী সাহিবা বানুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ইন্দ্রকুমারের বাড়ি মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায়। সেখানে কৃষিকাজের পাশাপাশি শিক্ষকতাও করতেন তিনি। বিয়ে করার জন্যই মধ্যপ্রদেশ থেকে উত্তরপ্রদেশে গিয়েছিলেন ইন্দ্রকুমার। কিন্তু বিয়ের কয়েক দিন পরেই স্ত্রী তাঁকে খুন করেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, সাহিবা ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করে ইন্দ্রকুমারের সঙ্গে আলাপ জমান। সমাজমাধ্যমেই দু’জনের পরিচয়। সেখানে সাহিবা নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন ‘খুশি’ বলে। সমাজমাধ্যম থেকেই দু’জনের প্রেম হয় এবং বিয়ে করতে উত্তরপ্রদেশে যান ওই ব্যক্তি।
সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’র এক প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি একটি ধর্মীয় আলোচনাচক্রে গিয়েছিলেন ইন্দ্রকুমার। সেখানে এক ধর্মীয় গুরুর সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিয়োয় ইন্দ্রকুমারকে বলতে শোনা যায়, তাঁর ১৮ একর সম্পত্তি রয়েছে। কিন্তু সেই সম্পত্তি দেখাশোনার কেউ নেই। অনেক চেষ্টা করেই তাঁর বিয়ে হচ্ছে না, এমন কথাও বলতে শোনা যায় ওই ব্যক্তিকে। ঘটনাচক্রে, এর পরেই সমাজমাধ্যমে ইন্দ্রকুমারের সঙ্গে আলাপ জমান ওই তরুণী। সে ক্ষেত্রে ওই সম্পত্তির লোভে ইন্দ্রকুমারকে বিয়ে করে খুন করা হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
প্রাথমিক তদন্তের পরে কুশিনগরের পুলিশ সুপার সন্তোষ কুমার জানান, সাহিবা নামে ওই মহিলা ‘খুশি তিওয়ারি’ পরিচয়ে আলাপ জমিয়েছিলেন নিহতের সঙ্গে। ইন্দ্রকুমার ওই মহিলাকে বিয়ে করতে রাজি হতেই ফাঁদ পাতেন সাহিবা। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে ডেকে পাঠান ইন্দ্রকুমারকে। বিয়েও করেন দু’জনে। কিন্তু বিয়ের কয়েক দিন পরেই মহিলা স্বামীকে খুন করেন বলে অভিযোগ। সাহিবার সঙ্গে আরও বেশ কয়েক জন এই ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।