অমিত শাহের সভার আগে রাহুল গাঁধীর অমেঠী সফরে বাদ সাধল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার।
১০ অক্টোবর রাহুলের কেন্দ্র অমেঠীতে যাচ্ছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও নিতিন গডকড়ী। অমেঠীর জন্য একগুচ্ছ প্রকল্পও ঘোষণা হবে। জনসভা করবেন অমিত শাহ। তার আগেই নিজের কেন্দ্রে ৪ অক্টোবর সফর নির্ধারিত ছিল সাংসদ রাহুল গাঁধীর। কিন্তু গতকাল রাতে অমেঠীর জেলাশাসক এক চিঠি দিয়ে সফর পিছিয়ে দেওয়ার জন্য রাহুল গাঁধীকে অনুরোধ করেন। যুক্তি দেওয়া হয়, দুর্গাপ্রতিমার বিসর্জন ও মহরমের জন্য পুলিশ সেখানে থাকবে। ফলে রাহুল গাঁধীর নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ পাওয়া যাবে না। জেলাশাসক ৫ অক্টোবরের পরে অমেঠীতে আসতে অনুরোধ করেন রাহুলকে।
আরও পড়ুন: গরবা দেখার ‘অপরাধে’ দলিত খুন গুজরাতে
কংগ্রেসের দাবি, আসলে অমিত শাহের সভার আগে রাজনৈতিক কারণে রাহুলের সফর পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে রাহুলের সফরসূচি বদলে রাজি নয় দল। উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বর বলেন, ‘‘এটি গণতন্ত্রের হত্যা। এমনকী কোনও সাংসদ যদি নিজের কেন্দ্রে উৎসবের সময়েও যেতে চান, তাতে কেন বাধা দেওয়া হবে?’’ আর এক কংগ্রেস নেতা অখিলেশ সিংহ বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধীকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। তাই তাঁর সফর রুখতে উদ্যোগী হয়েছে তারা।’’ কংগ্রেসের দাবি, বকেয়া কাজকে নতুন ভাবে সাজিয়ে নয়া প্রকল্প ঘোষণা করতে চাইছেন অমিত শাহ। আসল উদ্দেশ্য হলো পরের লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গাঁধীকে হারানো। সে জন্যই গোটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
বিজেপির পাল্টা দাবি, সাত মাস হয়ে গিয়েছে রাহুল গাঁধী নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে যাননি। তাঁর নামে নিরুদ্দেশের পোস্টারও পড়েছে অমেঠীতে। তার উপরে সাম্প্রতিক কয়েকটি ক্ষেত্রে রাহুলের মতো এসপিজি পাওয়া নেতার নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার দিক খতিয়ে দেখে স্থানীয় প্রশাসন যদি আর্জি জানায়, তাতে কংগ্রেস কেন বিজেপিকে দুষছে? রাহুল গাঁধীকে নিজের কেন্দ্রে যেতে বারণ করা হয়নি। ৫ অক্টোবরের পরে যেতে বলা হয়েছে মাত্র। এরপর নিরাপত্তার কোনও গলদ হলে সেই বিজেপিকেই আবার তুলোধনা করতে আসরে নামবে কংগ্রেস।