CAA

সিএএ নিয়ে শাহের পাল্টা চিদম্বরমকে

কিছু দিন আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এ বার সেই আইনকে কেন্দ্র করে তরজায় জড়ালেন দেশের বর্তমান ও প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী— যথাক্রমে অমিত শাহ এবং পি চিদম্বরম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:১১
Share:

(বাঁ দিকে) অমিত শাহ এবং পি চিদম্বরম। —ফাইল চিত্র।

ভোট ঘোষণার কিছু দিন আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এ বার সেই আইনকে কেন্দ্র করে তরজায় জড়ালেন দেশের বর্তমান ও প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী— যথাক্রমে অমিত শাহ এবং পি চিদম্বরম। সম্প্রতি চিদম্বরম তিরুঅনন্তপুরমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, লোকসভা নির্বাচনে জিতে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ ক্ষমতায় এলে সিএএ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। আজ অমিত শাহ অভিযোগ তুলেছেন যে, তোষণের রাজনীতি করে বিশেষ সম্প্রদায়কে বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ওই মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা চিদম্বরম। আইন প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই নেই। কারণ কংগ্রেস কোনও ভাবেই ক্ষমতায় আসবে না।

Advertisement

২০১৯ সালে ক্ষমতায় এসে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল পাশ করালেও বিরোধী ও সংখ্যালঘু সমাজের আন্দোলনের জেরে ওই আইনটি রূপায়িত করা থেকে পিছিয়ে যায় বিজেপি। যদিও চলতি সরকারের মেয়াদের একেবারে শেষ পর্বে, ভোটের সূচি ঘোষণার ঠিক আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করে মোদী সরকার। ওই আইনে প্রতিবেশী দেশের মুসলিমদের এ দেশে নাগরিকত্ব দেওয়ার সুবিধা না থাকায় গোড়া থেকেই সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়াতে আইনটির বিরোধিতা করে এসেছে কংগ্রেস ও অন্য
বিরোধী দলগুলি।

ক্ষমতায় এলে আইনটি প্রত্যাহার করার যে দাবি চিদম্বরম করেছেন, সেই প্রসঙ্গে অমিত শাহ আজ বলেন, ‘‘কেবলমাত্র মুসলিম ভোটব্যাঙ্ককে পাশে পাওয়ার লক্ষ্যে চিদম্বরম ওই মন্তব্য করেছেন, যাতে বিভাজনের রাজনীতি করে মুসলিমদের ভোট পেতে সক্ষম হয় কংগ্রেস।’’ শাহের দাবি, কংগ্রেসের এই তোষণের রাজনীতির বিরুদ্ধে বিজেপি দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে।

Advertisement

সিএএ-এর পাশাপাশি তিনটি নয়া ফৌজদারি আইনও এনেছে মোদী সরকার। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে সিএএ-এর মতো ওই তিনটি আইনও বাতিল করা হবে বলে চিদম্বরম দাবি করেছিলেন। সেই দাবিও উড়িয়ে দিয়ে অমিত শাহ বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস না তো ক্ষমতায় আসবে, না কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, সিএএ থাকবে। তিনটি ফৌজদারি আইনও দেশে কার্যকর হবে, দেশবাসী দ্রুত বিচার পাবেন। আর সিএএ-তে প্রত্যেক শরণার্থী নাগরিকত্ব পাবেন।’’ শাহের কটাক্ষ, ‘‘কংগ্রেসের যে নেতারা বার বার নির্বাচনে হারছেন, তাঁদের আবেদন করছি, তোষণ ছেড়ে উন্নয়নের কর্মসূচিকে বেছে নিন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন