বিহারে হারলে টলমল হবে অমিতের গদি

দিল্লি হারের পর বিহার তাঁর কাছে অগ্নিপরীক্ষা। বিরোধীরা তো বলছেই, এমনকী খোদ বিজেপি শিবিরেও গুঞ্জন কম নয়, বিহারে হারলে তাঁর গদিও টলমল। এই অবস্থায় নিজেকে নতুন করে মেলে ধরতে সক্রিয় হলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১৯:৩৪
Share:

— ফাইল চিত্র।

দিল্লি হারের পর বিহার তাঁর কাছে অগ্নিপরীক্ষা। বিরোধীরা তো বলছেই, এমনকী খোদ বিজেপি শিবিরেও গুঞ্জন কম নয়, বিহারে হারলে তাঁর গদিও টলমল। এই অবস্থায় নিজেকে নতুন করে মেলে ধরতে সক্রিয় হলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

Advertisement

আজ দিল্লিতে দলের সদর দফতরে নিজের নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করলেন অমিত শাহ। সেই ওয়েবসাইটে নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে অমিত শাহ দিল্লি হারের দায় নিজের ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলে সাফাইও দিয়েছেন। বলেছেন, দলের সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি দিল্লি নির্বাচনে তেমন নজর দিতে পারেননি। কিন্তু তাই বলে বিহারে পূর্ণ উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়তে কোনও খামতি হয়নি। বিহারই এইমুহূর্তে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভোটের সমীকরণ তিনি ভাল জানেন। ভোট জেতার রসায়নেও সিদ্ধহস্ত। ভোট জেতার পারদর্শিতা বোঝাতে গিয়ে চার রাজ্যে সরকার গঠন ও লোকসভায় উত্তরপ্রদেশে সাফল্যের পাশাপাশি অমিত শাহ টেনে এনেছেন গুজরাতে লাগাতার লালকৃষ্ণ আডবাণীকে জেতানোর প্রসঙ্গও। এমনকী, এক বার গাঁধীনগর থেকে অটলবিহারী বাজপেয়ীকে জেতানোর পিছনেও যে তিনিই কাণ্ডারী ছিলেন, সে কথা জানাতেও ভোলেননি।

ক’দিন আগেই বিহারে বিজেপি-র প্রতিপক্ষ নীতীশ কুমার বলেছিলেন, ‘‘বিহারে পরাজয়ের পর অমিত শাহ আর বিজেপি সভাপতির গদিতে থাকবেন না। তাঁকে সরে যেতে হবে।’’ বিজেপি শিবিরেও গুঞ্জন শুরু হয়েছে, বিহারে হারলে ফের গুজরাতেও ফিরে যেতে পারেন অমিত শাহ। অনেক সমীক্ষাই দেখাচ্ছে, এখনও সেয়ানে সেয়ানে টক্করের পরিস্থিতি রয়েছে বিহারে। জয় নিশ্চিত করতে এখনও আদাজল খেয়ে নামতে হবে বিজেপি-কে। তাই বিহারের জয় সুনিশ্চিত করতেই এখন নিজেকে নতুন করে মেলে ধরতে চাইছেন অমিত শাহ। আজ ওয়েবসাইট চালু করে অমিত শাহ বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, আমি সে ভাবে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করি না। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমার, দলের ও সরকারের গতিবিধি জানা যাবে। সংবাদমাধ্যমও এর থেকে অনেক মশলা পাবে। দেশের জনতা ও কর্মীরাও জানতে পারবেন আমাদের বক্তব্য। বিজেপিতে ১১ কোটি সদস্য হয়েছেন। তাঁদের কাছে পৌঁছেও যাওয়া যাবে এর মাধ্যমে।’’

Advertisement

ওয়েবসাইটে পরতে পরতে অমিত শাহ জানিয়েছেন, তাঁর রাজনৈতিক উত্থান আসলে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেই। তাঁরই নেতৃত্বে যাবতীয় দায়িত্ব সামলিয়েছেন। দলের সভাপতি হওয়ার পর বিজেপিকে বিশ্বের সবথেকে বড় দল বানিয়েছেন। সভাপতি হিসেবে তিনিই প্রথম এক বছরের মাথায় দেশের সব রাজ্য ঘুরেছেন। একসময় যে রামজন্মভূমি আন্দোলনের হাত ধরে বিজেপি-র উত্থান হয়েছে, তখন জনতাকে জড়ো করতেও তিনি সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। আবার লোকসভার সময় উত্তরপ্রদেশে দলের ভগ্নদশা কাটিয়ে শূন্য থেকে শুরু করে সবথেকে ভাল ফল করে বিজেপি। যার দৌলতে কেন্দ্রে ২৭২ সংখ্যা পার করতে পেরেছিল নরেন্দ্র মোদীর দল। অমিত শাহ বোঝাতে চাইছেন, বিহারই এখন তাঁর পাখির চোখ। যে কোনও মূল্যে পটনার গদি তিনি দখল করবেন। শেষ বাজারের হাওয়া তুলতে আমেরিকা থেকে ফিরে নরেন্দ্র মোদীও আরও দশটি জনসভা করবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন