নিরাপত্তায় ত্রুটি প্রিয়ঙ্কার, অমিত বললেন ঘটনাচক্র

গত ২৫ নভেম্বর প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার লোদী এস্টেটের বাড়িতে অবাধে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন কয়েক জন ‘প্রিয়ঙ্কা-ভক্ত।’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৫৬
Share:

ছবি: পিটিআই।

প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর নিরাপত্তায় ত্রুটি হওয়াকে ‘সমাপতন’ হিসাবে ব্যাখ্যা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

Advertisement

গত ২৫ নভেম্বর প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার লোদী এস্টেটের বাড়িতে অবাধে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন কয়েক জন ‘প্রিয়ঙ্কা-ভক্ত।’ আবদার জোড়েন নেত্রীর সঙ্গে নিজস্বী‌ তোলার। গেটে কেউ তাঁদের কোনও প্রশ্ন করেনি। গাঁধী পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার পরেই এ ভাবে নিরাপত্তায় ত্রুটির বিষয়টি সামনে আসায় শোরগোল পড়ে যায়। আজ রাজ্যসভায় এসপিজি বিলের বির্তকেও বিষয়টি তোলেন কংগ্রেসের বি কে হরিপ্রসাদ। জবাবে পুরো ঘটনাটিকে ‘ইত্তেফাক’ বা ঘটনাচক্র বলে ব্যাখ্যা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, সে দিন ঠিক ওই সময়ে কালো স্করপিও গাড়ি করে রাহুল গাঁধীর আসার কথা ছিল প্রিয়ঙ্কার বাড়িতে। সে কথা জানিয়ে রাখা হয়েছিল বাংলোর গেটেও। অমিতের কথায়, ‘‘গাঁধী পরিবারের কেউ গাড়ি করে আসার থাকলে মূল প্রবেশদ্বারে তাঁদের গাড়ি পরীক্ষা করে দেখা হয় না।’’ কিন্তু সে দিন ঠিক ওই সময়ে ওই রকমই একটি কালো গাড়ি প্রিয়ঙ্কার বাড়িতে আসে। তাতে রাহুল রয়েছেন ভেবে বিনা প্রশ্নে সেটিকে ভিতরে ঢুকতে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু গাড়ি থেকে রাহুলেরর বদলে নেমে আসেন উত্তরপ্রদেশের মেরঠের কংগ্রেস নেতা সারদা ত্যাগী ও আর তিন জন। নেমে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে কী ভাবে নিজস্বী তোলা যায় তা জানতে চান। নিরাপত্তারক্ষীরা তত ক্ষণে বুঝে গিয়েছেন, বেজায় ভুল হয়ে গিয়েছে। দলটিকে ঘিরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তাঁরা। অমিতের মতে, এই ধরনের সমাপতন আগে হয়নি। কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে না-হয়, তার জন্য তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে তিন নিরাপত্তারক্ষীকে সাময়িক ভাবে বরখাস্তও করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: হাত কেটে রক্ত বার করে পোস্টারে প্রতিবাদ অসম বিধায়কের

রবার্ট বঢরা আজ প্রিয়ঙ্কার এসপিজি নিরাপত্তা তুলে দেওয়া নিয়ে সরব হন। স্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়াকে নাম-না করে জোড়েন হায়দরাবাদের চিকিৎসকের উপরে হামলার ঘটনার সঙ্গেও। বঢরা টুইটে লেখেন, ‘‘ওই ঘটনা প্রিয়ঙ্কা বা আমার মেয়ে বা ছেলে বা গাঁধী পরিবারের বিষয় নয়। আসল বিষয় হল দেশের নাগরিকদের বিশেষ করে মহিলাদের নিরাপত্তা। গোটা দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে সমঝোতা করা হয়েছে। মহিলারা নিগ্রহ-ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন।’’

জবাবে কংগ্রেসের পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির দিকেই আঙুল তুলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজ্যসভায় তিনি বলেন, ‘‘আমরা পরিবারের বিরুদ্ধে নয়। পরিবারবাদের বিরুদ্ধে। ভারতের গণতন্ত্র এ ভাবে চলতে পারে না। কেন কেবল গাঁধী পরিবারের নিরাপত্তার কথা উঠবে। গাঁধী-সহ দেশের ১৩০ কোটি মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব।’’ রাজ্যসভায় বিজেপির সুব্রহ্মণ্যন স্বামীও সকলের জন্য এক সংবিধানের যুক্তি দিয়ে গাঁধী পরিবারের উপর থেকে এসপিজি প্রত্যাহারের পক্ষে সওয়াল করেন। সঙ্গে বলেন, ‘‘ইন্দিরার গাঁধীর মৃত্যু নিরাপত্তার অভাবে হয়নি। ইন্দিরা বা রাজীব গাঁধীর মৃত্যুর সঙ্গে নিরাপত্তার সম্পর্ক নেই।’’ স্বামীর মন্তব্য, ‘‘আমি চাই ওঁরা (গাঁধীরা) বেঁচে থাকুন। তবে দুর্নীতির দায়ে জেলে থাকুন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন