মিজোরাম থেকে তিন দিনের উত্তর-পূর্ব সফর শুরু করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। উত্তর-পূর্বে লোকসভা ভোটে ভাল ফল করেছে বিজেপি। বিজেপি ও তার শরিকরা এখানকার ২৫টি আসনের মধ্যে ১০টি পেয়েছে। অসমে লোকসভার ১৪টি আসনের মধ্যে ৭টি তারা জিতেছে। নাগাল্যান্ডে শাসক জোটে রয়েছে বিজেপি। তবে, মিজোরামে বিজেপির কোনও শক্তি নেই। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, তাই মিজোরাম থেকেই বিজেপি সভাপতি উত্তর-পূর্ব ভারতে অভিযানের সূচনা করলেন।
আজ কানায় কানায় পূর্ণ আইজলের ভানাপা প্রেক্ষাগৃহে অমিত বলেন, ‘‘জীবনে কখনও অসমের বাইরে উত্তর-পূর্বকে চেনার সুযোগ হয়নি। বিজেপি ১০ কোটি সদস্য-সহ বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হলেও উত্তর-পূর্বে আমাদের সদস্য কম। শূন্য থেকে এই রাজ্যে বিজেপির সদস্য সংখ্যা চার হাজার হয়েছে। আশা করি আমার উত্তর-পূর্ব সফরের পরে, আপনারাও বিজেপির হাত মজবুত করবেন।’’ অমিতের কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই এলাকার উন্নয়নে সব চেয়ে বেশি মন দিয়েছেন। এখান থেকে সরকারি কর্তাদের দিল্লি যাওয়ার সমস্যা। তাই, মোদীজি দিল্লি থেকে বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী ও মন্ত্রকের কর্তাদেরই নিয়মিত উত্তর-পূর্বে পাঠাচ্ছেন।’’ অমিত জানান, উন্নয়নের টাকা নিয়ে যাতে দুর্নীতি না হয়, সেই দিকে কেন্দ্র কড়া নজর রাখছে। মায়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে থাকা মিজোরামের সঙ্গে ওই দুই দেশের বাণিজ্য সম্ভাবনা বৃদ্ধির ব্যাপারে ও প্রস্তাবিত সীমান্ত বাণিজ্য দ্রুত শুরু করার ব্যাপারেও আশ্বাস দেন বিজেপি সভাপতি।
গত কাল রাজ্যে এসেছিলেন উত্তর-পূর্ব বিকাশ মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। এ দিন তিনি দিল্লি ফেরেন। দিল্লি থেকে আইজল অবধি সরাসরি বিমান পরিষেবা শুরু ও রাজ্যে বাঁশ শিল্প গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জিতেন্দ্র।
আইজলের পরে, আগামী কাল শাহ নাগাল্যান্ড যাবেন। ১৮ এপ্রিল যাবেন মণিপুর। দু’টি জায়গাতেই জনসভার পাশাপাশি, দলীয় কর্মীদের নিয়ে তিনি বৈঠক করবেন। পরের দফায়, ২১ থেকে ২৪ এপ্রিল
তিনি সিকিম, মেঘালয়, অরুণাচল ও অসম সফর করবেন। ত্রিপুরার যাবেন ২৭ এপ্রিল।