মঞ্চে যখন বক্তৃতা দিতে উঠলেন, ঠিক তার আগেই অমিত শাহের কানে খবর পৌঁছেছে তৃণমূল ছেড়েছেন মুকুল রায়। তার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আরও গর্জে উঠলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। গোটা দেশ থেকে আসা প্রায় দু’হাজার বিজেপি নেতার সামনে দলের বর্ধিত কর্মসমিতির বৈঠকে অমিত শাহ বললেন, ‘‘মমতা যদি মনে করেন, হিংসা করে বাংলায় বিজেপিকে দমাবেন— তিনি ভুল ভাবছেন। বিজেপির কোনও কর্মী ভয় পায় না।’’ তাঁর কথায়, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়েই বাংলায় বিজেপি হিংসার মোকাবিলা করবে। হিংসার পাঁক থেকেই পদ্ম ফুটবে বাংলায়।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে অমিত শাহ যে খুব সন্তুষ্ট, সেটা নয়। সম্প্রতি কলকাতায় গিয়েও রাজ্য নেতাদের কাছে রোষ প্রকাশ করে এসেছেন। কিন্তু কর্মসমিতির বৈঠকের সকালেই মুকুলের তৃণমূল ত্যাগ বাড়তি অক্সিজেন দিয়েছে বিজেপিকে। মুকুল-বিদায়ের চিত্রনাট্য বিজেপির তত্ত্বাবধানে হলেও এখন অমিত শাহদের লক্ষ্য তাঁকে ব্যবহার করে তৃণমূলকে আরও দুর্বল করা। আর সে কারণেই মমতাকে আরও ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করলেন দলের মঞ্চ থেকে।
বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘বাংলায় বিজেপির লড়াইয়ে অমিত শাহ পুরোদমে দলের পাশে রয়েছেন। অন্য কোনও দলের কর্মী মারা গেলে একপক্ষ অসহিষ্ণুতা বলে চিৎকার করে। কিন্তু বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূলের হিংসা নিয়ে তাঁরা চুপ।’’ রাহুলের দাবি— তৃণমূল যে ভাবে দুর্বল হতে শুরু করল, তাতে ২০১৯ সালের আগেই তাদের বিদায় নিশ্চিত। পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ বুঝতে পেরেছে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই তৃণমূলের হিংসার মোকাবিলা করতে হবে।’’