মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে এ বার বৈঠকে অমিত

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ তথা বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে সরকার যে সব প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেগুলির অগ্রগতি খতিয়ে দেখতেই প্রতি তিন মাস অন্তর মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপি সভাপতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৭ ০৪:১৩
Share:

তিন মাস অন্তর মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপি সভাপতি।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পরে এ বার বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। আগামী সোমবার দিল্লির অশোক রোডের বিজেপির সদর দফতরে ওই বৈঠকটি হবে। থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

Advertisement

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ তথা বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে সরকার যে সব প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেগুলির অগ্রগতি খতিয়ে দেখতেই প্রতি তিন মাস অন্তর মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপি সভাপতি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের ঠিক পরেই এ বার বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এই বৈঠক ঠিক হওয়ায় বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে। বিরোধীরা একে বিজেপির লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছে। বিজেপি সূত্রের খবর, এই ধরনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নিজ নিজে রাজ্যে সরকারি প্রকল্পগুলির কাজ কেমন চলছে, তার খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রীরা। সরকারি কাজ তৃণমূল স্তরে কতটা পৌঁছলো, তার যেমন হিসেব দেখে নেন মোদী-অমিত শাহরা, তেমনই কোনও রাজ্যে কোনও প্রকল্প সফল হলে অন্য রাজ্যকেও সেই প্রকল্প রূপায়ণে উৎসাহ দেন। সোমবার বৈঠকে থাকছেন মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, গুজরাত, অসম, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীরা। সদ্য বিহারে শরিক জেডিইউয়ের হাত ধরে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। তাই ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীও। থাকবেন জম্মু-কাশ্মীরের উপমুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: চিনকে ধাক্কা দিয়ে ডোকলাম বিতর্কে ভারতের হয়ে মুখ খুলল জাপান

Advertisement

বৃহস্পতিবার ৯ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন অমিত শাহ। তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই গুঞ্জন তৈরি হয়। প্রশ্ন ওঠে, অমিত শাহ কি ‘সুপার-পিএম’? সেই প্রসঙ্গে বিজেপির প্রধান মুখপাত্র অনিল বালুনি আজ বলেন, ‘‘দলের সভাপতি অমিত শাহ। তিনি মন্ত্রীদের সঙ্গে সংগঠন নিয়ে আলোচনা করেছেন। মন্ত্রক নিয়ে আলোচনা করেননি। মন্ত্রীরাও নেতা। তাঁদের সঙ্গে আগাম লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করাটা খুব স্বাভাবিক। এই বৈঠকটির জন্য দলের সভাপতিকে সুপার প্রধানমন্ত্রী আখ্যা দেওয়া শুধু অনুচিত নয়, নিন্দনীয়ও বটে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন