Andhra Pradesh Bus Accident

বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষে তেলের ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ, শর্ট সার্কিটের জেরে খোলেনি বাসের দরজাও! আটকে পড়েই মৃত্যু ২০ যাত্রীর

শুক্রবার ভোরে অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল জেলার চিন্নাটেকুর গ্রামের কাছে একটি বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বাসটিতে আগুন ধরে যায়। বাসটি হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল। এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:০২
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে বাসে আগুন লেগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ হল। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ কুর্নুল জেলার চিন্নাটেকুর গ্রামের কাছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি বাইকের সংঘর্ষের পরেই বাসটিতে আগুন ধরে যায়। পরে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সংঘর্ষের পর বাইকটি বাসের নীচে আটকে যায়। ওই অবস্থায় কিছুটা দূর এগোনোর পরেই বাইরে বিস্ফোরণ হয়। আগুনের স্ফুলিঙ্গ গিয়ে পৌঁছোয় বাসের তেলের ট্যাঙ্কারে। তার পরেই বাসটিতে আগুন লেগে যায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের বক্তব্য, বাইকটি বাসের তেলের ট্যাঙ্কে ধাক্কা মেরেছিল। সংঘর্ষের অভিঘাতে তেলের ট্যাঙ্কের ঢাকনা খুলে যায়। তেলের ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণের জেরে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাসটিতে।

Advertisement

পুলিশের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে যে, আগুন লাগার পর বাতানুকূল ওই বাসে শর্ট সার্কিট হয়। তার জেরে বাসের স্বয়ংক্রিয় দরজা খোলা যায়নি। অনেক যাত্রী দরজা খুলে বেরোনোর চেষ্টা করলেও তা পারেননি। কেউ কেউ মরিয়া হয়ে জানলা ভেঙে বাইরে বেরিয়ে প্রাণে বাঁচেন। তবে বাসা থাকা ৪০ জন যাত্রীর মধ্যে অধিকাংশই আগুনে ঝলসে যান। এখনও পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন। গুরুতর আহত হয়ে কুর্নুল সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেশ কয়েক জন যাত্রী।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডু। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্যকামনা করেছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বেসরকারি সংস্থার মালিকানাধীন ওই বাসে যে যাত্রীরা ছিলেন, তাঁদের অধিকাংশেরই বয়স ২৫ থেকে ৩৫-এর মধ্যে। তা ছাড়াও দুর্ঘটনার সময় বাসে ছিল দুই শিশু। বাসের দুই চালকের অবশ্য খোঁজ পাওয়া যায়নি। মনে করা হচ্ছে দুর্ঘটনার পরেই তারা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়েছেন। দুর্ঘটনার সব কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুই চালকের খোঁজেও তল্লাশি চলছে। বাসে থাকা যাত্রীদের একাংশের বয়ান অনুযায়ী, দুর্ঘটনার সময় তাঁরা ঘুমোচ্ছিলেন। সহযাত্রীদের চিৎকার শুনে তাঁদের ঘুম ভাঙে। তাঁরা দেখেন বাসে ক্রমশ আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই জানলা ভেঙে বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের শরীর এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে, তাঁদের চিহ্নিত করাই প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement