প্রতীকী ছবি।
একটা গুজব, আর সেই গুজবের জেরেই একটা গোটা গ্রামকে বয়কট করে দেওয়া হয়েছে! অন্ধ্রপ্রদেশের চিন্তাকোল্লার ঘটনা।
সপ্তাহখানেক আগেই অন্ধ্রপ্রদেশের ওই গ্রামে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। খবর রটে যায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে সোয়াইন ফ্লু-তে। গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেই খবর চিন্তাকোল্লার সীমানা পেরোতেই ভয়ানক সমস্যা দেখা দেয়। চিন্তাকোল্লাকে কার্যত ‘একঘরে’ করে দেয় আশপাশের গ্রামগুলো!
আশপাশের গ্রামগুলোতেও চিন্তাকোল্লার মানুষদের ঢোকা নিষিদ্ধ হয়।ফলে মহাসমস্যায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা। চরম সমস্যার মুখে গ্রামের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনাও। স্কুলবাস আসা বন্ধ করে দিয়েছে ওই গ্রামে। পড়ুয়ারা স্কুলেও যেতে পারছে না। ফলে পঠনপাঠন প্রায় শিকেয় উঠেছে। শুধু তাই নয়, গ্রামের বাইরে যে স্কুলগুলিতে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করতে যায়, সেই স্কুল কর্তৃপক্ষও ওই পড়ুয়াদের স্কুলে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এক পড়ুয়া জানিয়েছে, স্কুলের অধ্যক্ষ তাদের গ্রামের পড়ুয়াদের জন্য ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সূর্যের হামলার পূর্বাভাস করা যাবে ১০ বছর আগেই!
গ্রাম থেকে যেমন কোনও ব্যক্তি বেরোতে পারছেন না, তেমনই ওই গ্রামে আশপাশের কোনও লোকও ঢুকছে না।এ সবের মধ্যেই চরম জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে ওই গ্রামে। জেলা প্রশাসন গ্রামে ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে জলের বন্দোবস্ত করেছে। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, সোয়াইন ফ্লু-তে নয়, ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। এ কথা চিন্তাকোল্লা ও তার আশপাশের গ্রামগুলোতে মাইকিং করে জানানোর ব্যবস্থা করে প্রশাসন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। আতঙ্কটা যেন আশপাশের গ্রামগুলিরমনের গভীরে পৌঁছে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: উড়ানের সময় পাইলটদের জন্য অন্য খাবার বরাদ্দ হয়! কেন জানেন?
জেলাশাসক নিজে পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন। চিন্তাকোল্লা ও তার পড়শি গ্রামগুলোতে আতঙ্ক ও সন্দেহ কাটাতে একটা মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে কড়া হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে, এর পরেও কেউ যদি বয়কটের রাস্তায় হাঁটেন তা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন আতঙ্ক ছড়ানোর কারণ একটা আছে। গত অক্টোবরেই অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানায় সোয়াইন ফ্লু ধরা পড়ে। মৃত্যু খবর পাওয়া যায়অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল, চিত্তুর এবং তিরুপতিতে।