যাত্রাপথে বিমানচালকদের খাবারের মেনু সকলের চেয়ে আলাদা হয়। ছবি: শাটারস্টক।
বিমানে যাত্রীপরিষেবা সাধারণত উন্নতমানের হয়ে থাকে। দীর্ঘ যাত্রায় যাত্রীদের খাওয়াদাওয়া নিয়েও খুবই সচেতন থাকেন বিমান পরিষেবাকারী সংস্থা। পাঁচতারা বা শীর্ষস্থানীয় বিমানগুলিতে এই সুযোগসুবিধা স্বাভাবিক ভাবেই আরও উন্নতমানের হয়ে থাকে।
কিন্তু বিমানে যাতায়াত করার সময় অনেকেই হয়তো লক্ষ করেছেন, সাধারণ যাত্রীরা যে ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন, বিমানচালক, সহকারী বিমানচালক ও বিমানকর্মীরা সে সব খাবার ছুঁয়েও দেখেন না। বরং তাঁদের জন্য প্যাকটজাত হয় সম্পূর্ণ অন্য মেনু।
কখনও ভেবে দেখেছেন এমনটা কেন হয়? পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকদের মতে, এমনিতেই আকাশে ওড়ার সময় উচ্চতাজনিত কারণে বাতাসের অবস্থার পরিবর্তন হয়। যদিও কৃত্রিমভাবে বাতাসের চাপ ঠিক রাখার ব্যবস্থা থাকেই, তবুও কেবিনের বাতাস অনেকটাই হালকা হয় এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক কম থাকে। ফলে স্বাদকোরকগুলি বেশ খানিকটা অকার্যকর হয়ে পড়ে। তাই যে খাবার প্রিয় বলে নানা জায়গায় খেয়েছেন, সেই একই খাবার তুলনামূলক ভাবে বিস্বাদ লাগে।
আরও পড়ুন: জানেন কি আপনার পকেটেই রয়েছে সোনার ‘খনি’!
বিমানকর্মীদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম খাটে। কিন্তু তার পরেও তাঁদের খাবার যাত্রীদের থেকে আলাদা করে বানানো হয়। এমনকি, সেই তালিকায় মাছ, মাংস বা হজমে অসুবিধা সৃষ্টিকারী কোনও খাবারই থাকে না। এয়ার ইন্ডিয়ার এক বরিষ্ঠ আধিকারিক ভাঙলেন এই রহস্য।
জানালেন, ১৯৮২ সালে বস্টন থেকে লিসবনে উড়ে যাওয়ার সময় বিমানের দশ জন কর্মী ভারী পুডিং খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে অসুস্থতা এতটাই বাড়ে যে বিমানটি গন্তব্যস্থল লিসবনে না পৌঁছে বস্টনেই জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়।
১৯৮৪-তেও লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্কগামী এক বিমানে খাবার খেয়ে অসুস্থ বোধ করতে থাকেন বিমানচালকরা। তার পর থেকেই বিপদ এড়াতে ও দুর্ঘটনা রুখতে যাত্রীবাহী বিমান সংস্থাগুলি বিমানকর্মীদের খাদ্যতালিকা থেকে অপেক্ষাকৃত কঠিনপাচ্য খাবার সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে আসেন।
আরও পড়ুন: অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে মোয়াও
বিমানচালক ও সহকারী বিমানচালকদের খাবারের তালিকাও আলাদা করা হয়, যাতে কোনও একটি খাবার থেকে সমস্যা ছড়ালেও তা সকলকে কাবু করতে না পারে। বিমানের ক্যাপ্টেনরা এই বিষয়ে বিশেষ নজর রাখেন।
ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy