অন্ধ্রের বেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে হুড়োহুড়ির দৃশ্য। ছবি: পিটিআই।
অন্ধ্রপ্রদেশের বেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ন’জনের। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। তবে কী থেকে আচমকা হুড়োহুড়ির সূত্রপাত হল, কী ভাবেই বা ঘটল দুর্ঘটনা— তা এখনও স্পষ্ট নয়। পদপিষ্টকাণ্ডে এ বার তদন্তের নির্দেশ দিল অন্ধ্রের চন্দ্রবাবু নায়ড়ুর সরকার।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শ্রীকাকুলাম জেলার কাসিবুগ্গায় অবস্থিত বেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে শনিবার একাদশী উপলক্ষে অনেক ভক্তের সমাগম হয়েছিল। কিন্তু সম্ভাব্য জনসমাগম নিয়ে স্থানীয় পুলিশপ্রশাসনকে আগে থেকে সতর্ক করা হয়নি। ভিড় ব্যবস্থাপনার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফেও কোনও পরিকল্পনা ছিল না বলে দাবি। আরও জানা গিয়েছে, মন্দিরে প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য ছিল একটিমাত্র সঙ্কীর্ণ পথ। মনে করা হচ্ছে, সেখান দিয়ে কয়েকশো ভক্ত একই সঙ্গে প্রবেশ ও প্রস্থানের চেষ্টা করতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ড়ু। তিনি বলেন, ‘‘শনিবার কার্তিক একাদশী উপলক্ষে অপ্রত্যাশিত ভাবে বিপুল সংখ্যক ভক্ত মন্দির দর্শনে এসেছিলেন। কিন্তু এ বিষয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আগে থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। যদি তাঁরা আমাদের জানাতেন, তা হলে আমরা পুলিশি সুরক্ষা প্রদান করে ভিড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে পারতাম। এই গাফিলতির কারণেই ন’জনের মৃত্যু হল।’’ ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্ধ্র সরকারের সূত্র জানিয়েছে, মুকুন্দ পাণ্ডা নামে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ তাঁর ব্যক্তিগত জমিটি বেঙ্কটেশ্বর মন্দির নির্মাণের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছিলেন। মাত্র চার মাস আগে মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেই থেকে এই মন্দিরের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। তিরুমালার বেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরের আদলে তৈরি এই মন্দিরটি ‘মিনি তিরুপতি’ নামেও পরিচিত। সেখানে এমন দুর্ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।