— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ঋতুস্রাব চলছে কি না ‘প্রমাণ’ করার জন্য পুরুষ সহকর্মীদের সামনেই পোশাক খুলতে বাধ্য করা হল চার মহিলা কর্মীকে। সম্প্রতি হরিয়ানার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও।
জানা গিয়েছে, গত ২৬ অক্টোবর হরিয়ানার রোহতকের মহর্ষি দয়ানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসার কথা ছিল হরিয়ানার রাজ্যপাল অসীমকুমার ঘোষের। সেই মতো তোড়জোড়ও চলছিল। কিন্তু ওই দিন কাজে আসতে দেরি হয়ে যায় চার মহিলা সাফাইকর্মীর। তাঁরা জানান, ঋতুস্রাব চলাকালীন অসুস্থতার কারণে তাঁদের কর্মস্থলে পৌঁছোতে দেরি হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, সে সব যুক্তি মানতে চাননি ঊর্ধ্বতনেরা। উল্টে সত্যিই ঋতুস্রাব চলছে কি না প্রমাণ করার জন্য এক জনকে পোশাক খুলতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর অন্তর্বাস পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয় আর এক মহিলাকে। দাবি, ‘প্রমাণ’ হিসেবে অন্তর্বাসের ছবিও তুলে রাখেন পুরুষ সহকর্মীরা।
এর পরেই ওই দুই কর্মী বিনোদ কুমার এবং বীতেন্দ্র কুমারের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ শুরু করেন মহিলা কর্মীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও বিক্ষোভে যোগ দেন। রেজিস্ট্রার কৃষ্ণকান্ত গুপ্ত এবং উপাচার্য রাজবীর সিংহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। শেষ পর্যন্ত দুই অভিযুক্তকে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও।
অন্য দিকে, খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে হরিয়ানা মহিলা কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন রেণু ভাটিয়া ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, ‘‘এক জন মহিলাকে তাঁর ঋতুস্রাব চলছে কি না প্রমাণ দেখাতে বলার চেয়ে জঘন্য আর কিছু হতে পারে না।’’ ইতিমধ্যে রোহতকের পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানতে চেয়েছে কমিশন। যোগাযোগ করা হয়েছে আক্রান্ত মহিলাদের সঙ্গেও।