অ্যান্টিগা যাই ব্যবসা বাড়াতে, দাবি চোক্সীর

সম্প্রতি মেহুলের ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র অ্যান্টিগায় নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এপ্রিল মাসেই সে দেশের প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফলে মেহুলের নাগরিকত্ব পাওয়ার পিছনে বিরোধীরা অনেকেই মোদীর হাত দেখছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৮ ০৪:৪৪
Share:

মেহুল চোক্সী। ফাইল চিত্র।

ব্যবসা বাড়াতে অ্যান্টিগায় নাগরিকত্বের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি, দাবি করলেন মেহুল চোক্সী।

Advertisement

সম্প্রতি মেহুলের ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র অ্যান্টিগায় নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এপ্রিল মাসেই সে দেশের প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফলে মেহুলের নাগরিকত্ব পাওয়ার পিছনে বিরোধীরা অনেকেই মোদীর হাত দেখছেন।

মেহুল আজ তাঁর আইনজীবী মারফত জানান, সমস্ত আইন মেনে তিনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। বলেন, ‘‘ক্যারিবিয়ানে ব্যবসা বাড়ানোর আগ্রহ থেকেই ওই আবেদন জানিয়েছিলাম। তা ছাড়া অ্যান্টিগায় নাগরিকত্ব পেলে ১৩০টির মতো দেশে বিনা ভিসায় সফর করা যাবে, সেটাও লক্ষ্য ছিল।’’ সম্প্রতি একটি খবর ছড়িয়েছিল, মেহুল অ্যান্টিগা ছেড়ে পালিয়েছেন। তার পরেই আইনজীবীর হাত ধরে মেহুল চোক্সীর বয়ানে এই বিবৃতি।

Advertisement

অ্যান্টিগায় থাকা নিয়ে এর আগে অবশ্য ৫৯ বছর বয়সি শিল্পপতি বলেছিলেন, ‘‘আমেরিকায় চিকিৎসা চলছে। এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ হইনি। তাই অ্যান্টিগায় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ দেশের নাগরিক হিসেবে সব আইন মেনেই থাকব।’’

গত বছর নভেম্বর মাসে অ্যান্টিগায় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল মেহুলকে। সে দেশের সরকারের বক্তব্য, সেই সময়ে ভারতের কাছে সবিস্তার মেহুল সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা চলছে কি না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু সেই মুহূর্তে কোনও অভিযোগ ছিল না। নভেম্বরে অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব পাওয়ার পরে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভারত ছাড়েন মেহুল। ১৫ জানুয়ারি নাগরিক হওয়ার শপথ নেন। এর ঠিক পরেই, ২৯ জানুয়ারি সিবিআই তাঁর ও নীরব মোদীর বিরুদ্ধে ১৩,৫০০ কোটি টাকার জালিয়াতির মামলা রুজু করে। পিএনবি দুর্নীতিতে মেহুল চোক্সী ও নীরব মোদী, দু’জনেরই পাসপোর্ট বাতিল করে দেওয়া হয়।

মেহুল যে ও দেশে আছেন, তাতে সিলমোহর দিয়েছেন স্বয়ং অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউন। তিনিও বলেন, ‘‘এ দেশে নাগরিকত্ব দেওয়ার সময়ে ওঁর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস ছিল না। তবে এটা নিশ্চিত, উনি নিশ্চয় বিপদের আঁচ পেয়েছিলেন। আর তার জন্যই এ দেশে নাগরিকত্বের আবেদন জানিয়েছিলেন।’’ আরও বলেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করতে আমরা বাধ্য এবং সহযোগিতা করবও। তবে মেহুল এ দেশের নাগরিক হওয়ায় বিষয়টা একটু জটিল হয়ে গিয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনও প্রত্যর্পণ চুক্তিও নেই। কিন্তু আমাদের পক্ষে যা যা করা সম্ভব, সবটাই করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement