Antony Blinken

Antony Blinken: রুশ তেল আমদানি বন্ধে চাপ ব্লিঙ্কেনের

শুক্রবার ছিল জি-২০-র বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলনের দ্বিতীয় এবং শেষ দিন। বৈঠকটি আবর্তিত হয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২২ ০৬:১৪
Share:

ফাইল চিত্র।

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তৈরি হওয়া টানটান ভূকৌশলগত পরিস্থিতিতে শুক্রবার আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বালিতে জি-২০ গোষ্ঠীর রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলনের ফাঁকেই এই পার্শ্ব-বৈঠক করেছেন জয়শঙ্কর এবং ব্লিঙ্কেন। বিদেশমন্ত্রী টুইটারে লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলি নিয়ে আমেরিকার বিদেশসচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখন আমাদের সম্পর্ক যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে আরও খোলাখুলি ভাবে এবং অনেক বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সম্ভব।”

Advertisement

শুক্রবার ছিল জি-২০-র বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলনের দ্বিতীয় এবং শেষ দিন। বৈঠকটি আবর্তিত হয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল আমদানি বন্ধ করার জন্য জয়শঙ্করকে চাপ দিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। সম্প্রতি জি-৭ বৈঠকের পরে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির প্রশ্নে সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দেওয়া নিয়ে সওয়াল করেছে আমেরিকা এবং পশ্চিমি বিশ্ব। উদ্দেশ্য, বাজারের থেকে কম দামে মস্কোকে তেল বিক্রি করতে বাধ্য করা।

আমেরিকার বক্তব্য, জ্বালানির থেকে মস্কো যে লাভ করছে, তা তারা কাজে লাগাচ্ছে যুদ্ধে। তাদের যুদ্ধ থেকে বিরত করতে হলে ‘ভাতে মারতে হবে’। গত মাসে টোকিয়োতে কোয়াড সম্মেলনের পার্শ্ব-বৈঠকে কথা হয়েছিল জয়শঙ্কর ও ব্লিঙ্কেনের। শুক্রবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন জয়শঙ্কর।

Advertisement

সূত্রের খবর, এ দিন জি-২০ বৈঠকটি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইউক্রেন নিয়ে। যুদ্ধের ফলে বিশ্বজোড়া খাদ্যসঙ্কট তৈরি হয়েছে বলে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী ও উপস্থিত কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন আমেরিকা এবং ইউরোপের অনেক মন্ত্রী, প্রতিনিধিরা। লাভরভ সম্মেলন কক্ষে পৌঁছলে আওয়াজ ওঠে, ‘কবে আপনারা যুদ্ধ বন্ধ করবেন?’ মস্কোর পাল্টা অভিযোগ, যুদ্ধের দোহাই দিয়ে অর্থনৈতিক সঙ্কটে ইন্ধন দিচ্ছেপশ্চিমি দুনিয়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন