—ফাইল ছবি
এনআরসি খসড়ায় বাদ পড়া ব্যক্তিদের আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হল আজ। চূড়ান্ত খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ৪০ লক্ষ ৭ হাজার ৭০৭ জন। প্রামাণ্য ১০টি নথি-সহ তাঁরা নতুন আবেদন পত্র জমা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এনআরসি কোঅর্ডিনেটরের সুপারিশ ক্রমে আপাতত নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট, শরণার্থী সার্টিফিকেট, রেশন কার্ড, ১৯৫১ সালের এনআরসি ও ১৯৭১ সালের আগের ভোটার তালিকাকে প্রমাণপত্রের তালিকা থেকে বাদ রেখেছে শীর্ষ আদালত।
এরই পাশাপাশি, এনআরসি থেকে বৈধ বাঙালি নাগরিকদের নাম বাদ, ডি-ভোটারে নামে বাঙালিদের হেনস্থার প্রতিবাদে আজ বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখায় বিভিন্ন বাঙালি সংগঠন। সহস্রাধিক মানুষ বিধানসভার বাইরে জড়ো হন। গত কাল থেকেই ধর্নায় বসেছে বাঙালি যৌথ সমন্বয় সমিতি।
বিধানসভায় রাজ্য সরকারের তরফে চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি বলেন, “সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতে বাধ্য। কিন্তু সরকারের তরফে কোনও পক্ষপাতিত্ব বা অবিচার হবে না।’’ তিনি জানান, রাজ্য ১৯৫১ সালের এনআরসি-সহ বাকি পাঁচটি প্রমাণপত্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়েছে। কিন্তু আদালত এখনও তা মানেনি। কোঅর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলা তারপরেও আদালতে বন্ধ খামে বক্তব্য জমা দিয়েছেন। সেই বিষয়ে রাজ্য সরকার অন্ধকারে বলে পাটোয়ারি জানান। এরপরেই বিরোধী কংগ্রেসের তরফে হাজেলাকে অপসারণের দাবি তোলা হলে পাটোয়ারি বলেন, ‘‘এনআরসি কংগ্রেসই শুরু করেছিল। হাজেলাকেও তারাই নিয়োগ করে।’’ কংগ্রেস পাল্টা জানায়, ‘‘তাহলে এনআরসির কোনও কৃতিত্ব বিজেপি যেন দাবি না করে।’’