ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
দূরপাল্লার ট্রেনে এক অ্যাটেনড্যান্টের হাতে খুন হতে হল সেনা জওয়ানকে। গত ২ নভেম্বর জওয়ান জিগর চৌধরি ১৯২২৪ জম্মু তাওয়াই-সাবরমতী এক্সপ্রেসে ওঠেন পঞ্জাবের ফিরোজপুর স্টেশন থেকে। ট্রেনের বাতানুকূল কামরায় সংরক্ষিত আসন ছিল তাঁর। কয়েক দিনের ছুটিতে গুজরাতে বাড়ি ফিরছিলেন ওই জওয়ান।
পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রেনে উঠে নিজের সংরক্ষিত আসনে গিয়ে দেখেন শোয়ার জন্য কোনও চাদর, এমনকি কম্বলও দেওয়া হয়নি। তখন তিনি ওই কামরার দায়িত্বে থাকা অ্যাটেনড্যান্টকে চাদর আর কম্বল দিতে বলেন। অভিযোগ, ওই রেলকর্মী তা দিতে অস্বীকার করেন। আর এখান থেকেই বচসার সূত্রপাত। তা হাতাহাতিতে পৌঁছোয়। তার পরই জওয়ানের পায়ে ছুরি গেঁথে দেন অভিযুক্ত রেলকর্মী জুবির মেমন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ট্রেনেই মৃত্যু হয় জওয়ানের।
পুলিশ জানিয়েছে, ট্রেনটি যখন রাজস্থানের বিকানেরে পৌঁছোয়, টিকিট পরীক্ষক রেলপুলিশকে খবর দেন। রেলপুলিশ এসে জওয়ানের দেহ উদ্ধার করে। অভিযুক্ত রেলকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, চুক্তিভিত্তিক কাজ করতেন অভিযুক্ত রেলকর্মী। এই ঘটনার পর তাঁকে কাজ থেকে বরখাস্ত করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও পূর্ণাঙ্গ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আরপিএফের ডিজি-কে নোটিসও পাঠিয়েছে মানবাধিকার কমিশন।