কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। -ফাইল ছবি।
বিরোধীরা এককাট্টা হচ্ছেন। মোদী সরকারের মন্ত্রীরাও বিরোধীদের এক বন্ধনীতে ফেলে আক্রমণ করছেন।
সেই পথেই আজ রাহুল গাঁধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একই সঙ্গে আক্রমণ করলেন অরুণ জেটলি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র গুরুতর ভাবে বিপদগ্রস্ত। বিজেপি নেতারা সেখানে হেলিকপ্টারে করে নামতে পারেন না। জনসভা করতে পারেন না। রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয় না।’’
একই সঙ্গে রাহুলকে নিশানা করে জেটলির বক্তব্য, ‘‘ইতিহাসে লেখা থাকবে, প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভারতীয় সংসদের ক্ষতিটা অন্য সবার থেকে বেশি করেছেন জওহরলাল নেহরুর প্রপৌত্র। প্রতি দিন সকাল ১১টায় সংসদের দুই কক্ষই অচল করার চেষ্টা করে কংগ্রেস। উচ্চ মানের বিতর্কের জন্য পরিচিত রাজ্যসভাকেও অচল করে দেওয়া হয়েছে।’’ বর্ষীয়ান মন্ত্রীর অভিযোগ, ‘‘রাহুল গাঁধী জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’-এর সঙ্গে কাঁধ কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ছত্তীসগঢ়ের ভোটে মাওবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল কংগ্রেস। শহুরে নকশালদের বাঁচাতে কংগ্রেসই কোর্টে প্রথম সারিতে ছিল।’’
সিবিআই-ইডিকে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগানো ও নানা প্রতিষ্ঠানে ছড়ি ঘোরানোর অভিযোগ তুলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। কিন্তু জেটলি তাঁর ব্লগে বিরোধীদের বিরুদ্ধেই সেই অভিযোগ তুলেছেন। মমতার দিকে আঙুল তুলে তাঁর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গ ও বাম শাসিত কেরলে নিহত বিজেপি-আরএসএস কর্মীর সংখ্যা দেশের বিবেককে ধাক্কা দেবে।’’
জেটলির পাল্টা কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলের মন্তব্য, মোদী সরকার শুধু সিবিআই-ইডি দিয়েই বিরোধীদের হেনস্থা করে না, প্রধানমন্ত্রীর দফতর প্রতিরক্ষা চুক্তিতেও নাক গলায়। মিথ্যে তথ্য দিয়ে ভুল পথে চালিত করে সুপ্রিম কোর্টকেও।