আধারে সাশ্রয়, গুণগান জেটলির

২০১৪-র লোকসভা ভোটের আগে মনমোহন সরকার যখন আধারের সাহায্যে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদ ভর্তুকি পাঠানো শুরু করে— বিজেপি নেতারা অভিযোগ তুলেছিলেন, ভোটের জন্য নগদ বিলি করছে কংগ্রেস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪৭
Share:

আধারের গুণগান গাইলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।—ছবি পিটিআই।

পাঁচ বছরে বোধোদয়।

Advertisement

২০১৪-র লোকসভা ভোটের আগে মনমোহন সরকার যখন আধারের সাহায্যে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদ ভর্তুকি পাঠানো শুরু করে— বিজেপি নেতারা অভিযোগ তুলেছিলেন, ভোটের জন্য নগদ বিলি করছে কংগ্রেস।

পাঁচ বছর পরে, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানালেন, আধারের ফলে গত কয়েক বছরে সরকারের ৯০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। আধার ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে উঠছে। মনমোহন জমানায় আধার কর্তৃপক্ষের প্রধান নন্দন নিলেকানি এবং মোদী জমানায় তার উত্তরসূরি অজয়ভূষণ পাণ্ডেকে এর জন্য ধন্যবাদ জানান জেটলি। সেই সঙ্গে ইউপিএ সরকারের সমালোচনা করে জেটলির যুক্তি, ‘‘অন্তর্দ্বন্দ্ব ও সিদ্ধান্তহীনতার ফলে ইউপিএ সরকার আধার নিয়ে পুরোপুরি সচেষ্ট হয়নি। এর কৃতিত্ব নেওয়ার বদলে কংগ্রেসের নেতারা সুপ্রিম কোর্টে আধারের বিরুদ্ধে সওয়াল করেছেন।’’

Advertisement

সুপ্রিম কোর্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইলের সিমের সঙ্গে আধার যোগ করার বিরুদ্ধে রায় দিলেও, তা ঘুরপথে চালু রাখতে শুক্রবারই লোকসভায় বিল পাশ করিয়েছে মোদী সরকার। বিরোধীদের আপত্তিতে কান দেওয়া হয়নি। কিন্তু রাজ্যসভায় তা বাধার মুখে পড়তে পারে। তার আগে আধারের গুণগান গেয়ে আজ অর্থমন্ত্রী ব্লগ লিখেছেন। তাঁর যুক্তি, ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসেব— ৬৩.৫২ কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার যোগ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আধারের মূল ধারণায় সিলমোহর দিয়েছে। আধার নাগরিকদের ব্যক্তি পরিসরে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে দাবিও খারিজ করে দিয়েছে। জেটলির মতে, বিশ্ব ব্যাঙ্কের অনুমান, আধারের সাহায্যে ভারতের প্রতি বছর ৭৭ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে। যা দিয়ে তিনটি ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর মতো প্রকল্প চালানো যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন