অসমকে ভুলেছে মূল ভূখণ্ড, মত অরুণাচলের রাজ্যপালের

ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা ও মূল ভূখণ্ডের অবহেলার জন্যই ভারতে স্কুল-কলেজের বইয়ে অসম সংক্রান্ত কোনও অধ্যায় নেই। সাহিত্য বা সমাজের নবজাগরণের ক্ষেত্রে ভারতের আগ্রহ পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত গিয়েই থেমে গিয়েছে। এমনই মন্তব্য করলেন অরুণাচলের রাজ্যপাল জ্যোতিপ্রসাদ রাজখোয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:২৫
Share:

ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা ও মূল ভূখণ্ডের অবহেলার জন্যই ভারতে স্কুল-কলেজের বইয়ে অসম সংক্রান্ত কোনও অধ্যায় নেই। সাহিত্য বা সমাজের নবজাগরণের ক্ষেত্রে ভারতের আগ্রহ পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত গিয়েই থেমে গিয়েছে। এমনই মন্তব্য করলেন অরুণাচলের রাজ্যপাল জ্যোতিপ্রসাদ রাজখোয়া।

Advertisement

তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষ্ণব সন্ত শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের ৫৬৭-তম জন্মবার্ষিকী উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। অরুণাচলপ্রদেশের রাজ্যপালের মতে, ষোড়শ শতকে শঙ্করদেবের সময়ে অসমে গদ্য, কাব্য, সঙ্গীত, নাটক, চিত্র, নৃত্য-সহ সংস্কৃতির সব ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব বিকাশ হয়েছিল। কিন্তু, অসমীয়া সাহিত্যের সেই স্বর্ণযুগের কথা কোনও পাঠ্যবইয়ে মেলে না। শঙ্করদেবের জীবন নগাঁওতে শুরু হলেও মাজুলি, বরপেটা-সহ অসমের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি পুরী, বারাণসী ঘোরার পর জীবনের শেষ প্রায় দু’দশক তিনি অধুনা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে কাটিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গবাসী চৈতন্যদেব সম্পর্কে বিশদে জানলেও, বৈষ্ণব ধর্মের অপর পথিকৃত শঙ্করদেব সম্পর্কে অন্ধকারে।

এ দিন অরুণাচলপ্রদেশের রাজ্যপাল রাজখোয়ার বক্তব্যের বিষয়ই ছিল কোচ রাজত্বে শঙ্করদেব। তাঁর কথায়, ‘‘এক জন ব্যক্তি বৈষ্ণব ধর্মের প্রচার করলেন, এতগুলি বই-কাব্য-শ্লোক রচনা করলেন, ধ্রুপদী নৃত্যশৈলীর উদ্ভবন ঘটালেন, প্রচলন করলেন নতুন গীতরীতি ও নাট্যরীতি। অথচ তার পরও নিজের দেশেই প্রাপ্য সম্মান পেলেন না।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন