অসমে ফের ফিরল বন্যার তাণ্ডব। বন্যা ও হড়পা বানে বিধ্বস্ত অরুণাচলের অনেক এলাকাও।
দু’দিন অসম, ভুটান, অরুণাচলে ভারী বর্ষণের জেরে গত কাল থেকে শোণিতপুরে জিয়াভরালি, যোরহাটে ব্রহ্মপুত্র, শিবসাগরে দিসাং, লখিমপুরে ঘাই ও রাঙানদী, বরপেটায় বেকি নদীর জল ফের তীর ভাসায়।
বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে লখিমপুর, বরপেটায়। এনটি রোড ক্রসিংয়ে জিয়াভরালি, নাঙলামুড়াঘাটে দিসাং, নিমাতিঘাটে ব্রহ্মপুত্র, বরপেটায় বেকি বিপদসীমার
উপরে বইছে।
সব চেয়ে বিপাকে পড়েছে মানস কর্তৃপক্ষ। পুজোর ছুটির পর্যটক টানতে নির্দিষ্ট সময়ের এক মাস আগে ১ অক্টোবর মানস জাতীয় উদ্যান খুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভুটান কুরিশু নদীর জল ছাড়ায় মানসের অরণ্যে ফের জল ঢুকেছে। জনিয়াতেও বেকির জল অনেক গ্রাম ডুবিয়েছে। বরডাঙা এল পি স্কুলে বন্যার জল ঢুকে বাড়ি ভেঙেছে। বরডাঙা-রামপাড়া রোডের অনেকটা অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
তেজপুরে গাভরু নদীর তোড়ে বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। জহামারির নবিলে গাভরু নদীর জল বেড়ে ১০৫টি পরিবার ঘরছাড়া। বৃহত্তর নামরূপে ভূমিক্ষয়ের ফলে দিল্লি নদীর পাশে থাকা পরিবারগুলিতে হাহাকার। ডিব্রুগড় ও চড়াইদেওয়ের মধ্যবর্তী দিল্লি নদীর সেতুও ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার।
অন্য দিকে অরুণাচলপ্রদেশের কুরুংকুমে জেলায় মেঘ ভাঙা বানে বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে নিবি ও লেবা এলাকায় কয়েকটি সেতু ভেসে গিয়েছে। ভেঙেছে সড়ক। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বহু পরিবার ঘরহারা। অরুণাচলের ডাম্বুক মহকুমাও হড়পা বান ও ধসে বাকি রাজ্য ও দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। দিবাং ও সিসার নদী গত দু’দিন ধরে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। বমজির ও বিজারির মধ্যে ১৪ কিলোমিটার রাস্তা ও একটি সেতু ভেসে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।