Ram Prasad Sharma

মন্ত্রীকে ক্লিনচিট দিয়ে সাংসদকে সতর্ক করল বিজেপি

পরিবহণমন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি, শিল্প প্রতিমন্ত্রী পল্লবলোচন দাস, তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী কেশব মহন্তরা দাবি করেন, প্রমাণ থাকলে এ ভাবে সংবাদমাধ্যমের সামনে তা তুলে ধরার আগে শর্মার তা মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো উচিত ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৭ ১০:৩৪
Share:

রামপ্রসাদ শর্মা।— ফাইল চিত্র।

সাংসদকে ধমকে মন্ত্রীকে বেকসুর ঘোষণা করে দিল রাজ্য বিজেপির কার্যনির্বাহী সভা। সম্প্রতি একটি চ্যানেলের গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ে অসমের তেজপুরের বিজেপি সাংসদ রামপ্রসাদ শর্মার ভাষ্য। সেখানে তিনি বলেন, বিজেপির অধিকাংশ মন্ত্রী কমিশনরাজ চালাচ্ছেন। মন্ত্রী-বিধায়কদের নিজস্ব ঠিকাদার আছে। শর্মা বিশেষ ভাবে সেচমন্ত্রী রঞ্জিত দত্তর নাম নেন। ওই ভিডিও সম্প্রচারিত হওয়ার পরে রাজ্য জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। হাতে অস্ত্র পেয়ে যায় কংগ্রেস। মন্ত্রী দত্ত নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তদন্তের দাবি জানান। রাজ্য বিজেপি সভাপতি রঞ্জিতকুমার দাস সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়কদের সঙ্গে শনিবার সন্ধ্যায় বিশেষ বৈঠকে তলব করেন। ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। পরিবহণমন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি, শিল্প প্রতিমন্ত্রী পল্লবলোচন দাস, তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী কেশব মহন্তরা দাবি করেন, প্রমাণ থাকলে এ ভাবে সংবাদমাধ্যমের সামনে তা তুলে ধরার আগে শর্মার তা মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো উচিত ছিল। মুখ্যমন্ত্রী ও সভাপতি গত কাল সন্ধ্যার মধ্যে শর্মাকে তাঁর বক্তব্যের স্বপক্ষে প্রমাণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু শর্মা তা দিতে পারেননি। বৈঠক শেষে রাতে দলীয় মুখপাত্র রূপম গোস্বামী জানান, প্রমাণ ছাড়া এমন গুরুতর অভিযোগ তুলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করায় শর্মাকে সতর্ক করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ঘুষ নেন অসমের মন্ত্রী, দাবি বিজেপি সাংসদের

বলা হয়েছে, এমন কাজ যেন ভবিষ্যতে তিনি না করেন। রঞ্জিতবাবু বলেন, “শর্মার ওই সব প্রমাণ বিহীন অভিযোগ জনতা ও দলের কর্মীদের বিভ্রান্ত করেছে। আগেও তিনি যেখানে-সেখানে হঠকারী মন্তব্য করেছেন। ভবিষ্যতে তাঁকে এ ভাবে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগও নস্যাৎ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সভাপতি অমিত শাহকে জানানো হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement