Congress

হিমন্তের মুসলিম-তোপ জারি, বিক্ষোভে কংগ্রেস

হিমন্তের বাঙালি সংক্রান্ত মন্তব্য থেকে কোচবিহারের বাসিন্দা উত্তমকুমার ব্রজবাসীকে অসম ফরেনার্স ট্রাইবুনাল আইনে নোটিস ধরানোর মতো নানা ঘটনায় বিজেপিকে বাঙালি-বিরোধী, বিভাজনকারী বলে শুক্রবারও সরব থেকেছে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, বামেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৫ ০৬:০২
Share:

অসম ভবনের সামনে বিক্ষোভ কংগ্রেসের। বিধাননগরে। —নিজস্ব চিত্র।

বাঙালি নিয়ে তাঁর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক বাধলেও থামছেন না অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এ বার তিনি দাবি করলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে পুরো বাঙালি সমাজ নয়, বরং শুধু ‘মুসলিম বাঙালি’র কথাই ভাবেন। এর সঙ্গেই অসমে বাঙালি-অসমিয়া বিভাজন নেই বলেও তাঁর দাবি। হিমন্তের বাঙালি সংক্রান্ত মন্তব্য থেকে কোচবিহারের বাসিন্দা উত্তমকুমার ব্রজবাসীকে অসম ফরেনার্স ট্রাইবুনাল আইনে নোটিস ধরানোর মতো নানা ঘটনায় বিজেপিকে বাঙালি-বিরোধী, বিভাজনকারী বলে শুক্রবারও সরব থেকেছে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, বামেরা। সল্টলেকে ‘অসম ভবনে’র সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস।

হিমম্ত গুয়াহাটিতে এ দিন মমতার উদ্দেশে বলেছেন, “বাংলাভাষীদের স্বার্থ নিয়ে এত চিন্তিত হলে পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বাস্তবায়িত করছেন না কেন উনি? কারণ, মমতা গোটা বাঙালি সমাজকে নয়, বরং শুধু মুসলিম বাঙালিদের ভালবসেন, ভাবেন। মুসলিম-বাঙালির স্বার্থে মমতা অসমে এলে তাঁকে অসমিয়া ও হিন্দু-বাঙালিরা রেহাই করবেন না!”

যদিও হিমন্তদের বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগে ফের সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, “অসম থেকে বাঙালি বিতাড়ন আমরা ভুলিনি। বিভাজনের ওই আগুনে নতুন করে ঘি ঢালছেন হিমন্ত। এখনই না-থামলে বড় বিপদ ডেকে আনবেন।” এর পাশাপাশি পথের প্রতিবাদও অব্যাহত রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকে বিধাননগরে ‘অসম ভবনে’র সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা। পরে অসম সরকারের জয়েন্ট রেসিডেন্ট কমিশনারের কাছে দাবিপত্রও দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভে ছিলেন দলের নেতা কৃষ্ণা দেবনাথ, মায়া ঘোষ, সুমন রায়চৌধুরী, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, রণজিৎ মুখোপাধ্যায়, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা (শহর) কংগ্রেসের সভাপতি তাপস মজুমদার প্রমুখ।

এর সঙ্গেই অসমে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গারা অবৈধ ভাবে ঢুকেছে বলেও আবার অভিযোগ তুলেছেন হিমন্ত। তাঁর সংযোজন, “এই সমস্যা তীব্র হয়েছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের জন্য।” যদিও অসমের গোয়ালপাড়ায় উচ্ছেদ-অভিযানের ঘটনাকে সামনে রেখে সিপিএম, সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন, এসইউসি-র মতো বিভিন্ন বাম দলগুলির অভিযোগ, অরণ্য-রক্ষা, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, এমন নানা কথা বলে অসম সরকার আসলে বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং মুসলিমদের উপরে তীব্র আক্রমণ নামিয়ে আনছে। সেই সঙ্গে ভীতি ও সাম্প্রদায়িক পরিবেশ তৈরির চেষ্টাও চলছে। এর বিরুদ্ধে অসমে লাগাতার প্রতিবাদ কর্মসূচিও নিচ্ছে বাম দলগুলি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন