বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল করিমগঞ্জের আদালত। স্বামীকে গ্রেফতার করে আগামী ৩০ জুন করিমগঞ্জের আদালতে নিয়ে আসতে দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন করিমগঞ্জের এসিজেএম শাহ সৈয়দ আহাদুর রহমান। করিমগঞ্জের আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তিনি সমস্যায় পড়তে পারেন বলে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর আবেদনে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন স্বামী। সেই আবেদনের কথা মাথায় রেখে অসম সরকারকে তাঁর নিরাপত্তা সুদৃঢ় করার পাশাপাশি, দিল্লি থেকে তাঁকে বিমানে নিয়ে আসার কথা বলেছে আদালত। তবে বিমানের খরচ স্বামীকেই বহন করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারক।
গত ১৫ মার্চ গুয়াহাটির কাজিরাঙা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন, ‘‘গির্জা এবং মসজিদ কোনও প্রার্থনা স্থল নয়। তাই সেটাকে ভেঙে ফেলা যায়।’’ তাঁর এই মন্তব্যের জেরে অসমে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। করিমগঞ্জ আইনজীবী তুতিউর রহমান পাটিকর করিমগঞ্জের আদালতে স্বামীর এ হেন মন্তব্যের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ১৫৩-এ, ২৯৫-এ, ২৯৮ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
করিমগঞ্জ আদালত স্বামীর বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় নোটিশ পাঠায়। নোটিশটি দিল্লি থেকে করিমগঞ্জে ফিরে আসে। কারণ স্বামী বর্তমানে রাজ্যসভার সদস্য নন। আদালত থেকে স্বামীর বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও নোটিশ জারি না হলেও বিজেপি নেতা ২২ মে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেন। সেই আবেদনে তিনি বলেন, করিমগঞ্জ অসমের প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। করিমগঞ্জে অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। ফলে সেখানে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাঁর জীবন সংশয় হতে পারে। ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়। বাদীর তরফে আইনজীবী আতিকুল বারি চৌধুরী এ সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করেন। আজ করিমগঞ্জের আদালতে মামলাটি ওঠে। বাদীর পঙের আইনজীবী সংগৃহীত নথি আদালতে দেখিয়ে বলেন, সুব্রহ্মণ্যম স্বামী মামলার বিষয়ে বিশদ জানেন। কিন্তু তিনি ইচ্ছে করেই আদালতে হাজির হচ্ছেন না। এর পরেই এসিজেএমের আদালত স্বামীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।