দুর্যোগ রুখে এগোচ্ছে অসম চা নিগম

কখনও অনাবৃষ্টি, কখনও অতিবৃষ্টির ধাক্কা কাটিয়ে গত বছরের তুলনায় এ বছর এখনও পর্যন্ত অসম টি কর্পোরেশন লিমিটেডের গ্রিন টি উৎপাদন ১৮ লক্ষ কিলোগ্রাম বেড়েছে। আরও দু’মাসের ফলন মরসুম বাকি। তাই এটিসিএলের আশা, এ বছরের উৎপাদন বৃদ্ধি ২২ লক্ষ কিলোগ্রাম পর্যন্ত বাড়তে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:২৬
Share:

Tea garden

কখনও অনাবৃষ্টি, কখনও অতিবৃষ্টির ধাক্কা কাটিয়ে গত বছরের তুলনায় এ বছর এখনও পর্যন্ত অসম টি কর্পোরেশন লিমিটেডের গ্রিন টি উৎপাদন ১৮ লক্ষ কিলোগ্রাম বেড়েছে। আরও দু’মাসের ফলন মরসুম বাকি। তাই এটিসিএলের আশা, এ বছরের উৎপাদন বৃদ্ধি ২২ লক্ষ কিলোগ্রাম পর্যন্ত বাড়তে পারে।

Advertisement

সরকার অধিগৃহীত এটিসিএলের অধীনে রাজ্যের বরাক ও ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় ১৫টি চা বাগান রয়েছে। গত বছর সব মিলিয়ে বাগানগুলি থেকে মিলেছিল ১৬৫ লক্ষ কিলোগ্রাম গ্রিন টি।

এটিসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডি হরপ্রসাদ উজানি অসমে বাগান সফরে রয়েছেন। বিভিন্ন বাগানের ম্যানেজারদের সঙ্গে দেখা করে বাগানের ফলন নিয়ে আলোচনা করছেন। চিনামার বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করার পরে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে চায়ের দাম কমলেও এ বছর বিক্রির পরিমাণ ৫-৬ কোটি টাকা বাড়তে পারে।

Advertisement

১৯৭২ সালে তৈরি এটিসিএল পর্যাপ্ত মনোযোগ ও পরিকাঠামোর অভাবে ধীরে ডুবতে থাকে। ২০০৪ সালে সরকার ক্ষতির বোঝা কমাতে বাগানগুলি বিক্রি করতে চাইলেও খদ্দের মেলেনি। পরে ২০০৫ সালে সরকারি সাহায্যে বাগানগুলির পুনরুজ্জীবনের কাজ শুরু হয়। বিক্রির পরিমাণ তারপর থেকে উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়লেও এখনও এটিসিএলের বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। বর্তমানে এটিসিএলের সাত হাজার হেক্টর বাগানে প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক কাজ করেন।

এ বছর অগস্টে এটিসিএলের দায়িত্ব নেওয়ার পরে রাজ্য জুড়ে নতুন চা গাছ রোপণ, কারখানাগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে মন দেন তিনি। এখন এটসিএলের চারটি কারখানা চা তৈরির কাজ চালাচ্ছে। পরের বছর আরও একটি কারখানায় উৎপাদন শুরু হবে। এখনও পর্যন্ত ৪৮৫ হেক্টর জমিতে নতুন চা গাছ লাগানো হয়েছে। তাঁর লক্ষ্য, আগামী চার বছরের মধ্যে ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে নতুন চা গাছ বসানো হবে। বাড়বে আরও দু’টি বাগান। সব বাগানে এর মধ্যেই নতুন চারা তৈরির জন্য নার্সারি খোলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সেখানে তৈরি হয়েছে ১ কোটি চা চারা।

রাজ্যে চায়ের উৎপাদন ও গুণমান বৃদ্ধির জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে সরকার। পোকা ও চা গাছের রোগ ঠেকাতেও বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হরপ্রসাদবাবু জানান, কাজে উৎসাহ ফিরেছে শ্রমিকদের। একাধিক বাগানে টাকা না নিয়েও রবিবার শ্রমিকরা কাজ করতে আসছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement