মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নাম ঘোষণার পর ভূপেশ বাঘেল। —নিজস্ব চিত্র
রাজ্যে দলের মাথাটাই ছেঁটে ফেলেছিল মাওবাদীরা। সাড়ে তিন বছর ধরে সেই দল সামলাচ্ছিলেন তিনি। এ বার সামলাবেন রাজ্য। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন ভূপেশ বঘেল। শপথ নেবেন আগামিকাল বিকেল পাঁচটায়। এ দিন আর কোনও মন্ত্রী শপথ নেবেন না বঘেলের সঙ্গে।
তিন দিন ধরে দফায় দফায় বিস্তর আলোচনার পরে আজ দুপুরে রাজ্যের বিধান পরিষদীয় দল নেতা ঘোষণা করে বঘেলকে। তাঁর আগে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী পদের চার দাবিদারের মধ্যে থেকে বঘেলকে বেছেছেন রাহুল গাঁধীই। বঘেল ছাড়াও দৌড়ে ছিলেন অনুরাগ সিংহদেও, চরণদাস মহন্ত ও তাম্রধ্বজ সাহু। খড়্গে বলেন, ‘‘এক জনকে বেছে নেওয়াটা সহজ ছিল না। কারণ দলকে ক্ষমতায় ফেরাতে সকলেই সমান ভাবে লড়েছেন।’’
তবে বাকিদের ছেড়ে বঘেল কেন? এর উত্তর মিলতে পারে রমন সিংহ ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াইয়ের মধ্যে। পাঁচ বছর আগে মাওবাদীরা রাজ্য কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের খুন করার পরে, দলটাই প্রায় মুছে যেতে বসেছিল ছত্তীসগঢ়ে। এর দেড় বছর পরে কুর্মি সম্প্রদায়ের ওবিসি নেতা বঘেলকে প্রদেশ সভাপতি করা হলে ঘরে-বাইরে লড়াইয়ের মুখে পড়েন তিনি।
বিজেপির সঙ্গে গড়াপেটা ধরা পড়ায় দল থেকে বহিষ্কার করেন অমিত জোগীকে। কোণঠাসা হয়ে দল ছাড়েন তাঁর বাবা, বিজেপির ‘বি-টিম’ বলে পরিচিত অজিত জোগী। রমন সরকারের রোষে পড়েন বঘেল। সেক্স-টেপ কাণ্ডে নাম জড়ায় তাঁর। গ্রেফতার হয়েও জামিন নেননি বঘেল। জেলেই সত্যাগ্রহে বসার কথা ঘোষণা করেন। এই টানা লড়াইয়ের ফলেই বিজেপি নেমে এসেছে ১৫তে। কংগ্রেস পৌঁছেছে ৬৮তে। ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা কংগ্রেসের এই জয়কে অনেকে ভস্ম থেকে ফিনিক্স পাখির উঠে আসার সঙ্গে তুলনা করছেন।