Bihar Assembly Election

নির্দিষ্ট সময়েই ভোট বিহারে

ভোটের কাজে যুক্ত পুলিশ-প্রশাসনের কর্মী-আধিকারিকদের বদলি নিয়ে মঙ্গলবার বিহারের মুখ্যসচিবকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কমিশন।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২০ ০৫:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

অফিসারদের রদবদল নিয়ে বিহারের মুখ্যসচিবকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেল (ভিভিপ্যাট) বিহারে পৌঁছেছে। বুথ ছোট করার প্রস্তুতিও প্রায় শেষ পর্যায়ে। নির্বাচন কমিশনের এই ধরনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডই ইঙ্গিত দিচ্ছে করোনা আবহে ভোটের সাক্ষী থাকতে পারেন বিহার জনতা।

Advertisement

ভোটের কাজে যুক্ত পুলিশ-প্রশাসনের কর্মী-আধিকারিকদের বদলি নিয়ে মঙ্গলবার বিহারের মুখ্যসচিবকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, অবাধ এবং সুষ্ঠ নির্বাচন করতে কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে নির্দেশিকায় কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনের কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কোনও কর্মী-আধিকারিক নিজের জেলায় কাজ করতে পারবেন না। একই জেলায় তিন বছর রয়েছেন কিংবা আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তিন বছর পূর্ণ করে ফেলবেন, তেমন কর্মী-আধিকারিকেরও বদল করতে হবে। তবে লোকসভা নির্বাচনের সময়ে কমিশনের সুপারিশে দায়িত্ব পাওয়া কর্মী-আধিকারিক অবশ্য এই তালিকার বাইরে থাকবেন, তা-ও বিহার সরকারকে জানিয়েছে কমিশন।

ডিসেম্বরের শেষ লগ্নে ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হয়। সেই পড়শি রাজ্যের ইভিএম-ভিভিপ্যাট যাচ্ছে বিহারে। একই সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে ব্যবহার হওয়া ইভিএম-ভিভিপ্যাটে নিজেদের মতবন্দি করবেন বিহার জনতা।

Advertisement

করোনা-প্রতিরোধের অন্যতম শর্ত দূরত্ববিধি মানা। বিহার নির্বাচনে যাতে সেই শর্ত মানা যায়, তার পরিকল্পনা স্থির করেছে কমিশন। সে কারণে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি বুথ বাড়তে চলেছে বিহারে। স্বাভাবিক সময়ে প্রায় ১৬০০ ভোটার থাকে অনেক বুথে। এ বার থেকে সেখানে সর্বোচ্চ এক হাজার ভোটার থাকবে। তেমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তাঁদের কর্তাদের মতে, ‘‘করোনা-পরিস্থিতি যাতে ভোটদানের হারে প্রভাব ফেলতে না পারে। তার জন্য সমস্ত রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’ করোনা-সংক্রমিতেরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে পারবেন। সেই আবেদন একবার গ্রাহ্য হলে কোনও ভাবেই বুথে গিয়ে ভোটে অংশ নিতে পারবেন না সংশ্লিষ্ট ভোটার। এই সুবিধা শুধুমাত্র বিহারের বিধানসভা নির্বাচনেই নয়। আগামী দিনের যে কোনও নির্বাচনে ফলপ্রসূ হবে, তেমনই জানিয়েছেন কমিশন কর্তারা। এমনকি, পোস্টাল ব্যালট নিয়ে বাড়িতে হাজির হতে পারেন ভোটকর্মী। তেমন আলোচনা চলছে কমিশনের অন্দরে। চলতি বছরের ২৯ নভেম্বর মেয়াদ শেষ হচ্ছে বিহার বিধানসভার।

করোনা আবহে দেশে প্রথম ভোট হওয়ার কথা বিহারেই। সেখানকার মডেলই আগামী দিনের নির্বাচনে ব্যবহার করতে পারে কমিশন। আগামী বছর মে মাসের শেষে মেয়াদ শেষ হবে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, তামিলনাড়ু বিধানসভার। তার অব্যবহিত পরেই জুনের গোড়ায় শেষ হবে পুদুচেরি আর কেরল বিধানসভার মেয়াদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন