Assembly Elections 2018

রাজস্থান বিজেপিতে অবাধ্যতার হিড়িক! বহিষ্কৃত চার মন্ত্রী-সহ ১১ জন

বিধানসভা ভোট শিয়রে। বৃহস্পতিবারই মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। সেই পর্ব মিটতেই বড়সড় পদক্ষেপ করল রাজ্য বিজেপি। ভোটের আগে এটা নিঃসন্দেহে দলের কাছে একটা বড়সড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৮ ১৩:৩৫
Share:

ফাইল চিত্র। পিটিআই।

দলে কোনও ভাবেই ঠাঁই দেওয়া হবে না বিদ্রোহীদের। শুক্রবার দল থেকে রাজ্যের চার মন্ত্রী-সহ ১১ জন বিদ্রোহী নেতাকে বহিষ্কার করে সেটা বুঝিয়ে দিল রাজস্থান বিজেপি। শুধু তাই নয়, তাঁদের সদস্যপদও কেড়ে নেওয়া হয়েছে ছ’বছরের জন্য।

Advertisement

বিধানসভা ভোট শিয়রে। বৃহস্পতিবারই মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। সেই পর্ব মিটতেই বড়সড় পদক্ষেপ করল রাজ্য বিজেপি। ভোটের আগে এটা নিঃসন্দেহে দলের কাছে একটা বড়সড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

দলের অন্দরেই একটা ক্ষোভ ছাইচাপা আগুনের মতো জ্বলছিল। ভোট আসতেই সেই আঁচটা যেন টের পাওয়া গেল। প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতেই সেই আঁচটা যেন প্রকট হয়ে ধরা দিল। দলের টিকিট না পেয়েই বিদ্রোহ শুরু করে দেন বেশ কিছু নেতা-মন্ত্রী। ক্ষোভ উগরে দেন বসুন্ধরা সরকারের বিরুদ্ধে। ভোটের আগে দলের ভাবমূর্তি যাতে কোনও ভাবেই নষ্ট না হয় সে দিকে কড়া নজর রেখেছিল দল। তাই এই সব নেতা-মন্ত্রীরা যখন দলেরই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামেন, তখনই খাঁড়াটা এসে পড়ল তাঁদের উপর। বৃহস্পতিবার রাতেই দলের রাজ্য সভাপতি মদনলাল সাইনি নির্দেশ জারি করে ১১ জন বিদ্রোহীকে দলের বাইরের রাস্তাটা দেখিয়ে দিলেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: তফসিলি অত্যাচারে পাঁচে, চাপে বসুন্ধরা

বহিষ্কৃতদের তালিকায় রয়েছেন বসুন্ধরা রাজের ক্যাবিনেটের তিন মন্ত্রী। এঁরা হলেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী সুরেন্দ্র গয়াল, জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দফতরের হেমসিংহ ভারানা, দেবস্থান মন্ত্রী রাজকুমার রিনওয়া এবং জুনিয়র পঞ্চায়েতি রাজ এবং গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ধন সিংহ। এই চার জনই নির্দল হিসেবে লড়বেন।

অন্য সাত নেতার মধ্যে রয়েছেন, লক্ষ্মী নারায়ণ দাভে, রাধেশ্যাম গঙ্গানগর, রামেশ্বর ভাটি, কুলদীপ ধানকড়, ডি ডি কুমাওয়াত, কিসনারাম রাই, অনিতা কাটারা।

আরও পড়ুন: দুই রাজবাড়ি ফের মুখোমুখি রাজস্থানে

দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সূচনাটা করেছিলেন রামগড়ের বিধায়ক জ্ঞানদেব আহুজা। গত ১৮ নভেম্বর তিনি দল থেকে ইস্তফা দেন। কারণ, তাঁকে দলের টিকিট দেওয়া হয়নি। নির্দল হিসেবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পরে তিনি মনোনয়ন তুলে নেন এবংদলে ফিরেও আসেন। তাঁকে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতির পদে নিয়োগ করা হয়। শুধু জ্ঞানদেব আহুজাই নন, ভোটের টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভে বেশ কয়েক জন নেতাও দল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।

(ভোটের খবর, জোটের খবর, নোটের খবর, লুটের খবর- দেশে যা ঘটছে তার সেরা বাছাই পেতে নজর রাখুন আমাদেরদেশবিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন