ভারী বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়েছে মুম্বইয়ের একটি বাড়ির একাংশ। ছবি: পিটিআই।
রাতভর ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারতের বাণিজ্যনগরী মুম্বই। নাগাড়ে ভারী বর্ষণের জেরে শহরের বহু রাস্তা জলের তলায় চলে গিয়েছে। এক রাতের বৃষ্টিতে দাদর এবং বান্দ্রা স্টেশনের কাছে ডুবেছে রেললাইনও। ভারী বৃষ্টির জেরে বাড়ি ধসে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। এই পরিস্থিতিতে শনিবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে মুম্বইয়ে। আবহাওয়া দফতরের তরফে মুম্বই এবং সংলগ্ন রায়গড় জেলার জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই হালকা এবং মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছিল মুম্বইয়ের বিস্তীর্ণ অংশে। ভারী বৃষ্টি শুরু হয় রাত ১১টা থেকে। চলে ভোর ৫টা পর্যন্ত। বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মুম্বইয়ে পূর্ব এবং পশ্চিম দিকের শহরতলি। কুর্লা, চেম্বুর এবং আন্ধেরির বহু এলাকায় এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত জল জমে গিয়েছে। ভিখরোলিতে শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত ২১ ঘণ্টায় ২৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে সান্তাক্রুজে বৃষ্টি হয়েছে ২৩২ মিলিমিটার। ভিখরোলির বর্ষানগর এলাকায় ধস নামায় ভেঙে পড়ে একটি আবাসনের একাংশ। মৃত্যু হয় দু’জনের। জখম হন দু’জন। বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, সেখানে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে।
এই পরিস্থিতিতে শনিবারও ভারী বৃষ্টি চললে জলযন্ত্রণা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন মুম্বইকররা। বড় বিপদের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। ভারী বৃষ্টির সময় বাড়ির ভিতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। জল জমে যাওয়ায় বন্ধ রাখা হয়েছে আন্ধেরি সাবওয়ে। ঘুরপথে মন্থর গতিতে চলছে যানবাহন। সড়কপথ, ট্রেনলাইনের পাশাপাশি জল জমেছে মুম্বই বিমানবন্দরেও। তার জেরে আংশিক ব্যাহত হয়েছে বিমান পরিষেবা। ইন্ডিগো যাত্রীদের বিমানের নতুন সময় দেখে বাড়ি থেকে বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিমান দেরিতে ছাড়তে পারে বলে আগাম জানিয়ে রেখেছে বিমান সংস্থাটি।