ফাইল চিত্র।
অটলবিহারী নামের আর এক অর্থ বংশীধারী। হলে কী হবে, দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে ‘রাম’-এর নাম হটিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীর নামে করার প্রস্তাব দিল্লি পুরসভা আনতেই আঁতকে উঠেছেন মোদীর দলের নেতারা। বিজেপিশাসিত পুরসভার প্রস্তাব বাতিল করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপিই।
বাজপেয়ীর মৃত্যু থেকে ভোটের বাক্সে ফায়দা নিতে এখন মরিয়া গোটা দল। দেশ জুড়ে বাজপেয়ীর অস্থি বির্সজন করার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন নেতারা। আজ থেকে দিল্লির সাতটি লোকসভা কেন্দ্রে বাজপেয়ীর অস্থি বির্সজন যাত্রা শুরু হয়েছে। ছত্তীসগঢ়ে রমন সিংহের সরকার তো নতুন রায়পুর শহরের নাম অটলের নামে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছেন। একাধিক সরকারি প্রকল্প বাজপেয়ীর নামে করার ইঙ্গিত দিয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার। এই আবহে নতুন কিছু করার তাগিদে আজ পুরসভার অধিবেশনে দিল্লির রামলীলা ময়দানের নাম অটলবিহারীর নামে রাখার প্রস্তাব দিয়ে বসেন উত্তর দিল্লি পুরসভার বেশ ক’জন কাউন্সিলর। মূলত দশমীর দিন রামলীলা ও বাকি সময় রাজনৈতিক সভার জন্য পড়ে থাকা ওই ময়দানের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি মনে ধরে পুরসভার হর্তা-কর্তাদের। বড় মুখ করে সে কথা সংবাদমাধ্যমে বলতে গিয়ে এখন ফেঁসে গিয়েছেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। বুঝতে পারেননি হিতে বিপরীত হবে। উদ্যোগকে স্বাগত জানানো তো দূর, রীতিমতো দূরছাই করে দিল্লির বিজেপি নেতারা অবিলম্বে প্রস্তাব বাতিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস-ও খাপ্পা।
কাউন্সিলরদের মধ্যে কেউ কেউ বোঝাতে গিয়েছিলেন অটলবিহারী নামের আর এক অর্থ তো কৃষ্ণ। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। দলের স্পষ্ট বক্তব্য, ভোট আসছে। হিন্দু ভোট ধরে রাখতে রাম সংক্রান্ত কোনও কিছুর সঙ্গে আপস করা যাবে না। দিল্লির বিজেপি সভাপতি মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘‘কয়েকশো বছর ধরে রামলীলা ময়দান নামটি চলে আসছে। তা পাল্টানোর প্রশ্নই নেই।’’
অরবিন্দ কেজরীবাল কটাক্ষ করে টুইট করেছেন, ‘‘রামলীলা ময়দানের নাম অটলজির নামে করে লাভ নেই। বিজেপির উচিত প্রধানমন্ত্রীর নাম পরিবর্তন করা। এখনকার প্রধানমন্ত্রীর নামে লোকে আর ভোট দিচ্ছে না।’’