জুসাবকে ঘিরে ৪ মহিলা এটিএস অফিসার। ছবি : টুইটার থেকে নেওয়া।
ভোরের আগেই গুজরাতের সন্ত্রাস দমন শাখা(এটিএস)-র চার মহিলা অফিসার জঙ্গলে ঢুকে পড়েন। অনেক বাধা পেরিয়ে বোটাড জেলার জঙ্গলের গভীরে পৌঁছে যান তাঁরা। পাকড়াও করেন এক দুর্ধর্ষ অপরাধীকে। গত এক বছর ধরে পালিয়ে বেড়াছিল সে।
জুসাব আল্লারাখা সান্ধ (৪০) খুন, তোলাবাজি, পুলিশের ওপর গুলি চালানোর মতো গুরুতর ২৩টি মামলায় অভিযুক্ত। তাকে ধরতে এটিএসের পাঁচ অফিসার বোটাডের দেবধারী জঙ্গলে প্রবেশ করেন। পাঁচ জনের মধ্যে চার জনই মহিলা অফিসার। তাঁদের হাতে ছিল একে ৪৭ সহ সংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র। জুসাবকে ধরে তাঁরা সিআইডির হাতে তুলে দেন বলে জানানো হয়েছে এটিএস-এর তরফে।
জুসাবকে ধরার একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তার হাত পিছমোড়া করে বাঁধা। মাটিতে বসিয়ে রাখা হয়েছে। তার পিছনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ‘প্রমীলা বাহিনী’। চার মহিলা এটিএস অফিসারের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র।
চার মহিলা অফিসারের হলেন, সান্তোক ওদেদ্রা, নিতমিকা গোহলি, অরুণা গামেতি ও সিম্মি মাল।
আরও পড়ুন : জরিমানার ভয়ে জরায়ু বাদ দিচ্ছেন মহিলা আখ শ্রমিকরা!
আরও পড়ুন : ছিনতাইবাজকে ধাওয়া করে ধরলেন কন্ডাক্টর
জুসাব আল্লারাখা সান্ধের বাড়ি গুজরাতের জুনাগড়ে। বেশ কয়েক বছর ধরেই তার বিরুদ্ধে নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৪ সালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে প্যারোলে ছাড়া পায়। তারপর থেকেই বোটাড, ভাবনগর, রাজকোট এলাকার ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছিল জুসাব। তার ধরা পড়ায় এই সব এলাকায় কিছুটা শান্তি নামবে বলে আশা করছে প্রশাসন।