ছাত্রনেতা উমর খালিদ। —ফাইল চিত্র।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা উমর খালিদের উপরে হামলা। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা হয়। সোমবার বেলা ১টা নাগাদ নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন খালিদ। ক্লাবের বাইরে একটি চায়ের দোকানের সামনে এই ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, খালিদ কনস্টিটিউশন ক্লাবে গিয়েছিলেন ‘খউফ সে আজাদি’ শীর্ষক একটি আলোচনা চক্রে ভাষণ দিতে। ‘ইউনাইটেড এগেনস্ট হেট’ নামক একটি সংগঠন এই আলোচনার আয়োজন করে। খালিদের সঙ্গে ছিলেন অন্য দুই ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্য। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সেই সময় ওই এলাকায় যথেষ্ট ভিড় ছিল। সেই ভিড়ের মধ্যে থেকেই সাদা জামা পরা এক যুবক পিস্তল নিয়ে এগিয়ে আসে খালিদের দিকে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টাও করে সে। কিন্তু পিস্তলের ট্রিগার চাপলেও তা থেকে গুলি বার হয়নি, আটকে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শর্টার উদ্ধার করে। ঘটনার পর খালিদ বলেন, ‘‘সারা দেশে একটা আতঙ্কের আবহ চলছে। যাঁরাই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে, তাঁদেরই ভয় দেখানো হচ্ছে।’’
প্রথমে অবশ্য খবর পাওয়া গিয়েছিল, খালিদকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে আততায়ী। যদিও সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় খালিদ জখম হননি। কিছু প্রত্যক্ষদর্শীও খালিদের উপর গুলি চলেছে বলে জানিয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, ভিড় ঠেলে এগিয়ে আসতে দেখা যায় সাদা জামা পরা একজনকে। কিছু বোঝার আগেই সে গুলি চালায়। এর মধ্যেই বেসামাল হয়ে পড়ে যান খালিদ। গুলি তাঁর পাশ দিয়ে চলে যায়। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তিনি। প্রাথমিক ভাবে পাওয়া সেই তথ্যের ভিত্তিতেই গোটা দেশের সংবাদমাধ্যমই খবর প্রচার করে। পরে পুলিশ জানায়, খালিদের উপরে গুলি চালানো হয়নি।
আরও পড়ুন: প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় (১৯২৯-২০১৮)
এর আগে দিল্লি পুলিশের কাছে খুনের হুমকির অভিযোগ করেছিলেন খালিদ। ২০১৬ সালে তাঁর বাবা কাশিম রাসুলও হুমকি ফোন পেয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। খালিদের বাবার অভিযোগ ছিল, দেশ ছেড়ে না গেলে ছেলে উমরকে খুন করা হবে বলে অজানা নম্বর থেকে তাঁকে ফোন করছিল কেউ।
(রাজনীতি, অর্থনীতি, ক্রাইম - দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)