নিষ্কৃতি মৃত্যু: হেঁটেছি ঠিক পথেই, মনে করছেন পিঙ্কি ভিরানি

ন’বছর আগে আইনি লড়াইটা শুরু করেছিলেন তিনি। বন্ধু অরুণা শনবাগের জন্য নিষ্কৃতি মৃত্যুর অধিকার আদায় করতে পারেননি বটে। কিন্তু শর্তসাপেক্ষে নিষ্কৃতি মৃত্যুর অধিকার স্বীকার করেছিল আদালত। শুক্রবারের রায়ে সেই লড়াইয়ের জয়ই  সম্পূর্ণ হল বলে মনে করছেন মুম্বইয়ের সমাজকর্মী পিঙ্কি ভিরানি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৮ ০৩:৩৭
Share:

পিঙ্কি ভিরানি

ন’বছর আগে আইনি লড়াইটা শুরু করেছিলেন তিনি। বন্ধু অরুণা শনবাগের জন্য নিষ্কৃতি মৃত্যুর অধিকার আদায় করতে পারেননি বটে। কিন্তু শর্তসাপেক্ষে নিষ্কৃতি মৃত্যুর অধিকার স্বীকার করেছিল আদালত। শুক্রবারের রায়ে সেই লড়াইয়ের জয়ই সম্পূর্ণ হল বলে মনে করছেন মুম্বইয়ের সমাজকর্মী পিঙ্কি ভিরানি।

Advertisement

২০০৯ সালে বন্ধু অরুণা শনবাগের নিষ্কৃতি-মৃত্যুর আবেদন জানিয়ে মামলা করেছিলেন পিঙ্কি। ২০১১-তে শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করলেও ক্ষেত্র বিশেষে নিষ্কৃতি মৃত্যুকে স্বীকৃতি দেয়। এ দিন পরোক্ষ নিষ্কৃতি মৃত্যু সর্বতো ভাবে স্বীকৃত হওয়ার পরে পিঙ্কি আনন্দবাজারকে বলেন, ‘‘অরুণাকে ভালবাসতেন যাঁরা, তাঁদের সকলের জয়। আজ মনে হচ্ছে, ঠিক পথেই হেঁটেছি। ন’বছর আগে যে লড়াইটা শুরু করেছিলাম এ বার কিছু মানুষ তার সুফল পাবেন।’’

অরুণা মামলায় সে বার প্রশ্ন উঠেছিল, বাঁচার অধিকার যদি থাকে, সম্মান নিয়ে মৃত্যুর অধিকার থাকবে না কেন? শুক্রবার আদালতের রায়ে সেই প্রশ্নের জবাব মিলল বলেই মনে করছেন পিঙ্কি। অরুণা নিজে অবশ্য নিষ্কৃতির অধিকার পাননি। ৪২ বছর শয্যাশায়ী থাকার পর নিউমোনিয়ায় ভুগে তিনি মারা গিয়েছেন ২০১৫ সালে। ১৯৭৩ সালে নভেম্বরের এক রাতে মুম্বইয়ের হাসপাতালে সাফাইকর্মী সোহনলাল বাল্মীকি ধর্ষণ করেছিল নার্স অরুণাকে। কুকুর বাঁধার শেকল দিয়ে সে পেঁচিয়ে ধরেছিল অরুণার গলা। দীর্ঘক্ষণ গলায় শেকল চেপে থাকায় অরুণার মস্তিষ্কে অক্সিজেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ওই অবস্থায় ১১ ঘণ্টা পড়েছিলেন তিনি। চলচ্ছক্তিহীন-অভিব্যক্তিহীন অরুণা পরবর্তী ৪২ বছর কাটান হাসপাতালেই। তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন নার্সরাই।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন