অসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত সিন্হা।
তিনি দেশের অসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী। দিল্লি থেকে রাঁচী যাওয়ার পথে বিমানে স্ন্যাক্স চেয়েছিলেন। বিমানসেবিকা জানিয়ে দিলেন, তিনি যেহেতু আগে থেকেই দক্ষিণ ভারতীয় মিল অর্ডার করে রেখেছেন, শেষ মুহূর্তে তা বদলানো সম্ভব নয়। অগত্যা পকেটের টাকা খরচ করেই পছন্দের খাবারটি কিনে নেন মন্ত্রী জয়ন্ত সিন্হা। নিজের পরিচয় দেননি, বিমানসেবিকাও তাঁকে চিনতে পারেননি।
গোটা ঘটনাটি টুইটারে পোস্ট করেছেন মন্ত্রীর এক সহযাত্রী। তার পরেই মন্ত্রীর প্রশংসায় ভরে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। অনেকেরই বক্তব্য, দেশের আর পাঁচ জন নেতা-মন্ত্রী এই ধরনের ঘটনা ঘটলে নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে যে হুলস্থুল বাধাতেন, জয়ন্ত তা না করে দেখিয়ে দিয়েছেন, প্রকৃত নেতার আচরণ কেমন হওয়া উচিত। ঘটনাটা গত কালের। আসাদ রশিদ নামে মন্ত্রীর পাশে বসা এক যাত্রী টুইটারে পুরোটা লিখে বিমান সংস্থার উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনাদের কেবিন ক্রু-র উচিত দেশের বিমান প্রতিমন্ত্রীকে চিনে রাখা।’’ বিষয়টি জানার পরে অনেকেই লিখেছেন, সংস্থার উচিত ছিল বিমান প্রতিমন্ত্রীকে নিখরচায় স্ন্যাক্সটি পরিবেশন করা। তবে নেটিজেনদের বেশির ভাগেরই বক্তব্য, মন্ত্রীর সঙ্গে ভিআইপিসুলভ আচরণ না করে বিমান সংস্থা দেখিয়ে দিয়েছে, প্রতিটি যাত্রীরই সমান ব্যবহার পাওয়া উচিত।