Ayodhya Case

অযোধ্যা মামলার রায়ে বিজেপির কোনও কৃতিত্ব নেই, দাবি শিবসেনার

শনিবার ৫০০ বছরের বিতর্কিত অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগের দিনই সুপ্রিম কোর্টের রায় রামমন্দিরের দিকেই যাবে ধরে নিয়ে এমন দাবি করেছে শিবসেনা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৬:২৩
Share:

শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। -ফাইল চিত্র।

অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির গড়ার ঐতিহাসিক রায়ের অবদান বিজেপি নিতে পারে না, ১৯৯২ সালের পর থেকেই সেই অবদান শিব সৈনিকদের। এবং তার পরও যদি কারও অবদান থেকে থাকে, তাহলে তা শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের। শনিবার ৫০০ বছরের বিতর্কিত অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগের দিনই সুপ্রিম কোর্টের রায় রামমন্দিরের দিকেই যাবে ধরে নিয়ে এমন দাবি করেছে শিবসেনা।

Advertisement

শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত শুক্রবার বলেন, “১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসে ভারতীয় জনতা পার্টির কোনও ভূমিকাই ছিল না। সে সময় একমাত্র একটাই মানুষ বালসাহেব ঠাকরে (শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা) প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন, যদি শিব সৈনিকরা বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে থাকেন, তাহলে এর জন্য তিনি গর্বিত।”

তাঁর মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় তাঁর দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ সে সময় প্রচুর শিব সৈনিক তাঁদের প্রাণ উত্সর্গ করেছিলেন। সেগুলো সবই আজ ইতিহাস। তবে বর্তমানে একমাত্র শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেই সম্প্রতি দুবার অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে ঘুরে এসে এই বিতর্ক জিইয়ে রেখেছিলেন। তা না হলে এতদিন অযোধ্যা মামলা হিমঘরে চলে গিয়েছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের রায়: অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির হবে, মসজিদ বিকল্প জায়গায়

আরও পড়ুন: ইতিহাস-স্নাতকের হাতেই সবচেয়ে বিতর্কিত মামলার অবসান

উদ্ধব ঠাকরেই প্রথম বিজেপিকে ওই স্থানে রামমন্দির করার জন্য আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু বিজেপি তখন সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। ফলে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তাঁর কৃতিত্বও যথেষ্ট। কিন্তু বিজেপি বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের কোনও কৃতিত্ব নেই, মন্তব্য শিবসেনা মুখপাত্রের। শিবসেনা মুখপাত্রের সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরেও একমত। শীর্ষ আদালতের এই ঐতিহাসিক রায়ের কৃতিত্ব তিনিও বিজেপিকে দিতে নারাজ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন