দু’বছরেও বাঙালি ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের খোঁজ না মেলায় তা নিয়ে সিবিআই তদন্ত চাইলেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। দিন তিনেক আগে তিনি এ নিয়ে ঝাড়খণ্ডের স্বরাষ্ট্র দফতরকে চিঠি লেখেন। চিঠির কথা মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের সচিবালয় থেকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর অনুরোধ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক পরামর্শদাতা অজয় কুমার।
উল্লেখ্য, ভিন রাজ্য থেকে রাঁচিতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের পদে চাকরি করতে আসা সুধী রঞ্জন ভট্টাচার্য ২০১৩ সালের জুলাই মাসে নিখোঁজ হয়ে যান। রাঁচির ধুরবা শাখায় তিনি কমর্রত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী সুমিতা ভট্টাচার্য রাঁচির জগন্নাথপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ধুরবা এলাকার একটি বাড়িতে একাই থাকতেন সুধীবাবু। নিখোঁজ হওয়ার দিন তিনি নিজের মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়ে যান বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত তাঁর আর কোনও খোঁজ মেলেনি। তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। যদিও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি বলেই দাবি করেছে জগন্নাথপুর থানা।
সুধীবাবুর পরিবার প্রথম থেকেই তদন্তে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ করে এসেছেন। তৎকালীন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকজনের সঙ্গেও তাঁরা দেখা করেন। কিন্তু তাতে কোনও কাজের কাজ শেষ পর্যন্ত হয়নি বলেই অভিযোগ।
রাঁচির এসএসপি প্রভাত কুমার অবশ্য সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বরং তদন্ত ঠিক পথে চলছে বলেই তিনি দাবি করেন। তাঁর কথায়, “তদন্ত ঠিক পথেই চলছে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের জেরা করে তেমন কিছু মেলেনি। ওই ঘটনার তদন্তে একবার পুলিশ রাজস্থানেও গিয়েছিল। কিন্তু কিছু পাওয়া যায়নি। তবে চেষ্টা চলছে।”
পুলিশ জানায়, নিজের দায়িত্বে কয়েক জনকে ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সুধীবাবু। কিন্তু ওই ব্যক্তিরা ঋণের টাকা ফেরত না দেওয়ায় সমস্যায় পড়েন তিনি। অফিসের বাইরেও ওই ঋণগ্রহীতাদের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন তিনি। এর মধ্যেই হঠাৎ করে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান।