ভোট-দামামা বাজালেন আজমল

জনসভা হয়েছিল দু’দিন আগে। কিন্তু করিমগঞ্জে তার চর্চা এখনও বন্ধ হয়নি। অনেকের মনেই প্রশ্ন, বরাকে জাতীয় নাগরিক পঞ্জী নিয়ে আলোচনার আড়ালে কার্যত বিধানসভা ভোটের দামামাই কি বাজিয়ে গেলেন এআইইউডিএফ শীর্ষ নেতা? কেউ কেউ বলছেন— বরাকের ১৫টি বিধানসভা আসনে কোন প্রার্থীরা কংগ্রেস, বিজেপিকে পরাস্ত করতে পারবেন তা নিজে দেখে গেলেন এআইইউডিএফ শীর্ষ নেতা সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৫ ০৩:৩৯
Share:

জনসভা হয়েছিল দু’দিন আগে। কিন্তু করিমগঞ্জে তার চর্চা এখনও বন্ধ হয়নি। অনেকের মনেই প্রশ্ন, বরাকে জাতীয় নাগরিক পঞ্জী নিয়ে আলোচনার আড়ালে কার্যত বিধানসভা ভোটের দামামাই কি বাজিয়ে গেলেন এআইইউডিএফ শীর্ষ নেতা? কেউ কেউ বলছেন— বরাকের ১৫টি বিধানসভা আসনে কোন প্রার্থীরা কংগ্রেস, বিজেপিকে পরাস্ত করতে পারবেন তা নিজে দেখে গেলেন এআইইউডিএফ শীর্ষ নেতা সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল।

Advertisement

সেই দিনের সভায় হাজির ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক বশির আহমদ কাশিমী, বিধায়ক স্বপন কর, সাংসদ রাধেশ্যাম বিশ্বাস। জাতীয় নাগরিক পঞ্জী নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও, তা নিয়ে কিন্তু একটি বাক্যও খরচ করেননি আজমল। দক্ষিণ করিমগঞ্জের নিলামবাজারে এআইইউডিএফ-এর সভামঞ্চে দলের নেতাদের নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর এই চেহারা আগে কখনও দেখেননি সাধারণ মানুষ।

বছর দু’য়েক আগে কাটিগড়ার এআইইউডিএফ বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভুঁইঞা রাজ্যসভা নির্বাচনে ভোট দেননি। তার জেরে কংগ্রেস প্রার্থী জিতে যান। এআইইউডিএফ বিধায়কের ওই পদক্ষেপে বিপাকে পড়েছিলেন আজমল। তার কিছু দিন পর তিনি তা নিয়ে প্রকাশ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

Advertisement

কিন্তু নিলামবাজারের সভামঞ্চে অন্য রূপের আজমলকে প্রত্যক্ষ করলেন সেখানে হাজির জনতা। প্রকাশ্যেই দলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। এমনকী তাঁদের ইস্তফা দেওয়ার কথাও তোলেন। পদত্যাগ করতে বলেন জেলা এআইইউডিএফ সভাপতিকে। কিন্তু আজমল সে দিন এত উত্তেজিত হলেন কেন? তার উত্তর এখনও খুঁজে পায়নি বরাক।

দক্ষিণ করিমগঞ্জ আসনে রানু খানকে মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন আজমল। নিলামবাজারে জনসভা আয়োজনের দায়িত্ব ছিল জেলা এআইইউডিএফ নেতৃত্বের পাশাপাশি রানু খানদের উপরও। সাংসদ আজমলের জনসভায় সাধারণ ভাবে ভিড় উপচে পড়ে। কিন্তু সেই দিন ছবিটা ছিল একেবারেই উল্টো। সভা শুরু হওয়ার পরই এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আজমল। রানু খানের ভাই টুনু খান নিলামবাজার জেলা পরিষদের সদস্য। জনসভায় কম লোক আসায় পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের দিকে তোপ দাগেন আজমল। তাঁর বক্তব্য ছিল, পঞ্চায়েতে দুর্নীতির জন্যই তাঁর সভায় ভিড় জমেনি। তার জেরে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের ইস্তফাও দাবি করে বসেন। স্থানীয় এআইইউডিএফ নেতাদের কয়েক জন অবশ্য তা মানতে নারাজ। তাঁদের ধারণা, আজমলের সঙ্গে দক্ষিণ করিমগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্দেক আহমদের সুসম্পর্ক রয়েছে। তা দক্ষিণ করিমগঞ্জের অনেক বাসিন্দারই অজানা নয়। সে কারণেই জনসভায় ভিড় জমেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন