National news

উত্তাল বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, পুলিশের লাঠিতে উত্তাপ বাড়ল

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে। ক্যাম্পাসের ভিতরেই হেঁটে হস্টেলে ফিরছিলেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। অভিযোগ, তখনই একটি মোটরবাইকে তিন বহিরাগত ভিতরে ঢুকে তাঁর শ্লীলতাহানি করে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৩:৩৩
Share:

জখম ছাত্রীকে বের করে নিয়ে আনছেন সহপাঠীরা। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা।

ক্যাম্পাসে ঢুকে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়। বিক্ষোভের আঁচ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের পুলিশের লাঠিচার্জ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বারাণসী সফরে যান শুক্রবার। শনিবার তিনি বারাণসী ছাড়তে না ছাড়তেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে। ক্যাম্পাসের ভিতরেই হেঁটে হস্টেলে ফিরছিলেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। অভিযোগ, তখনই একটি মোটরবাইকে তিন বহিরাগত ভিতরে ঢুকে তাঁর শ্লীলতাহানি করে। ওই ছাত্রী বাধা দিলে এবং চিৎকার করলে তারা চম্পট দেয়। ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন ক্যাম্পাসের এক নিরাপত্তারক্ষী। চিৎকার শুনেও তিনি নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বলে অভিযোগ। উপরন্তু ছাত্রী বিষয়টি কর্তৃপক্ষতে জানানোর কথা বললে ওই নিরাপত্তারক্ষী এত রাত করে হস্টেলে ফেরার কৈফিয়ত চান তাঁর থেকে। এতেই আরও চটে যান পড়ুয়ারা। ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেন গেটের বাইরে ধর্নায় বসেন তাঁরা।

ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রীদের উপরে লাঠিচার্জ করছে পুলিশ

Advertisement

নরেন্দ্র মোদী বারাণসীতে থাকাকালীন মোদীর সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানাতে চেয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু তার অনুমতি মেলেনি। তাঁদের সঙ্গে দেখা না করেই মোদী বারাণসী ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন এই খবর আসা মাত্রই পড়ুয়ারা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু পুলিশ তাঁদের উপাচার্যের ঘরেও ঢুকতে দেয়নি। শুরু হয় পড়ুয়াদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধস্তি। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে। মধ্যরাতে বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের উপর শুরু হয় পুলিশের লাঠিচার্জ। রেহাই পাননি ছাত্রীরাও। এমনকী মহিলা পুলিশ ছাড়াই মহিলা হস্টেলে ঢুকে ছাত্রীদের পেটানোর গুরুতর অভিযোগও উঠেছে।

পুলিশের দাবি, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছিলেন পড়ুয়ারা। তিনটি মোটরবাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল। তাই বাধ্য হয়েই লাঠিচার্জ করতে হয়।

আরও পড়ুন:

কৌশলী মোদী, দায়িত্ব মন্ত্রীদের

রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় পাকিস্তানকে কী বলে খোঁচা দিলেন সুষমা?

ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, ‘‘খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। লাঠিচার্জ না করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের পথ বের করা উচিত সরকারের।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন