Bank Manager

‘কাজের চাপে আর পারছি না’! সহকর্মীকে দিয়ে দড়ি আনিয়ে ব্যাঙ্কেই আত্মঘাতী ম্যানেজার

এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার কাজের সময় শেষ হলে ব্যাঙ্কের অন্য কর্মীদের বাড়ি চলে যেতে বলেন শিবশঙ্কর। তিনি জানান, তাঁর কাজ শেষ হলে তালা বন্ধ করে চলে যাবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৫ ১৬:৪৬
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

মহারাষ্ট্রের পুণের বারমতীতে রাষ্ট্রায়ত্ত এক ব্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল ম্যানেজারের ঝুলন্ত দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। ব্যাঙ্ক থেকে একটি সুইসাইড নোটও মিলেছে। সেখানে কাজের চাপকেই দায়ী করেছেন শিবশঙ্কর মিত্র নামে ব্যাঙ্কের ওই কর্মী। যদিও কারও নামে কোনও অভিযোগ করেননি।

Advertisement

বারামতী থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবশঙ্করের বয়স ৪৫ বছরের আশপাশে। গত ১১ জুলাই তিনি ব্যাঙ্কের চিফ ম্যানেজারের পদ থেকে ইস্তফা দেন। কাজের চাপের জন্যই সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন শিবশঙ্কর। ইস্তফা দেওয়ার পরে নোটিস পিরিয়ডে কাজ করছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ব্যাঙ্কের বারমতী শাখা থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার কাজের সময় শেষ হলে ব্যাঙ্কের অন্য কর্মীদের বাড়ি চলে যেতে বলেন শিবশঙ্কর। তিনি জানান, তাঁর কাজ শেষ হলে তালা বন্ধ করে চলে যাবেন। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে যান রক্ষী। পুলিশ জানিয়েছে, রাত ১০টা নাগাদ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। ওই দিন বিকেলেই এক সহকর্মীকে দড়ি এনে দিতে বলেছিলেন শিবশঙ্কর। ব্যাঙ্কের সিসি ক্যামেরায় গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে।

Advertisement

রাত হয়ে গেলেও শিবশঙ্কর বাড়ি ফেরেননি দেখে তাঁকে ফোন করতে থাকেন স্ত্রী। ফোনে না পেয়ে তিনি ব্যাঙ্কে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন, ব্যাঙ্কের ভিতরে আলো জ্বলছে। তিনি ব্যাঙ্কের অন্য কর্মীদের খবর দেন। তাঁরা এসে দরজা খুলে শিবশঙ্করের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়। সেখানে কাজের চাপকেই দায়ী করেছেন শিবশঙ্কর। পুলিশ জানতে পেরেছে, অবসাদে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর চিকিৎসা চলছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement