জম্মু-কাশ্মীরের পাম্পোরে জঙ্গি হানা প্রশ্নে করা হলেও প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গেলেন পাক হাই কমিশনার আব্দুল বাসিত। রবিবার একটি ইফতার পার্টিতে জঙ্গি হানার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। প্রসঙ্গটি এড়িয়ে বাসিত বলেন, ‘‘এটা রমজানের মাস। ইফতার পার্টিতে মন দিন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীর বিষয়টি ভারত ও পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের সমস্যা। আশা করছি আলোচনার টেবিলেই আমরা এর সমাধান করতে পারব। এখন ইফতার পার্টিতে মন দিন এবং আনন্দ করুন।’’
শনিবার পুলওয়ামা জেলার পাম্পোরে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন ৮ সিআরপিএফ জওয়ান। সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গিও। আহত হন ২১ জন সেনা। গোয়েন্দাদের আগেই ধারণা ছিল, নিহত জঙ্গিরা পাকিস্তানি। হামলার দায় নিয়েছে লস্কর-ই-তইবা। এই জঙ্গি হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের অভিযোগ, ভারতকে অশান্ত করতে চাইছে পাকিস্তান। বিষয়টির তদন্তে মঙ্গলবার কাশ্মীর যাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তিন সদস্যের একটি দল।
এ দিন নিহত জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘটনাটির নিন্দা করে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বলেন, ‘‘এখন রাজ্যে শান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পর্যটকরাও কাশ্মীরে আসছেন। এই পরিবেশ নষ্ট করতেই হামলা চালানো হচ্ছে।’’
অন্যদিকে, রাজ্যে প্রায় এক ডজন ল্যান্ডমাইন প্রতিরোধী যান আনল সিআরপিএফ। জঙ্গি হানা ঠেকাতে এই যানের ব্যবহার করা হতো। তবে সাম্প্রতিক কালে সেই যানের ব্যবহার কমানো হয়েছিল। শনিবার পাম্পোরে সিআরপি-র বাসে জঙ্গি হামলার পরে সেই প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে বলে মনে করছে আধা-সামরিক বাহিনী। তাই এই উদ্যোগ। নতুন উন্নত মানের আরও ২০টি যান তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।